সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আড়াই বছর আগের এক সকালে হঠাৎই মাঝ আকাশ থেকে নিখোঁজ হয়েছিল যাত্রীবোঝাই আস্ত একটি বিমান৷ বেমালুম গায়েব হয়ে গিয়েছিল৷ জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে ক্রমাগত তল্লাশি চালিয়েও কোনও হদিশ মেলেনি বিমানের ২৩৯ জন যাত্রী ও বিমানকর্মীর৷ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় সমুদ্রে ভেসে থাকা জিনিসপত্র দেখে নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ বলে ভেবেছিলেন উদ্ধারকারীরা৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার মালয়েশীয় সরকার জানাল, গত জুন মাসে তানজানিয়া থেকে উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষ নিখোঁজ বিমান এমএইচ৩৭০-এরই৷
২০১৪ সালের ৮ মার্চ কুয়ালা লামপুর থেকে বেজিং উড়ে যাচ্ছিল এমএইচ ৩৭০৷ বোয়িং ৭৭৭ বিমানটিতে ছিলেন ২৩৯ জন যাত্রী ও বিমানকর্মী৷ ওড়ার আধঘণ্টা পর হঠাৎই রাডার থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় বিমানটি৷ তারপর গত আড়াই বছরে তার হদিশ মেলেনি৷ প্রায় ১২০, ০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলেছে তল্লাশি৷ এত দীর্ঘ সময় ধরে এবং এত বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে কোনও বিমানের খোঁজই তল্লাশি চলেনি কখনও৷ এদিন মালয়েশীয় বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তানজানিয়ার উপকূলবর্তী এলাকায় পেম্বা দ্বীপে যে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে তার সঙ্গে নিখোঁজ বিমানের যোগ রয়েছে৷ বিমানের টুকরোটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া পাঠানো হয়৷ পরীক্ষায় জানা যায়, টুকরোটিতে যে সমস্ত সংখ্যা বা তারিখ ছাপা রয়েছে তা মালয়েশীয় বিমানেরই৷ আগেও অবশ্য একবার মালয়েশিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল, উদ্ধার হওয়া ওই টুকরো এমএইচ ৩৭০-এর হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে৷ এ দিন তা নিশ্চিত করা হল৷
মালয়েশিয়া থেকে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটার দূরের আফ্রিকান রাষ্ট্রে কীভাবে ওই বিমান পৌঁছল তা নিয়ে এখনও বিশ বাঁও জলে তদন্তকারীরা৷ এক মার্কিন অপেশাদার তদন্তকারী ব্লেইন গিবসন আরও কিছু টুকরো ফরেনসিক তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন৷ টুকরোগুলি পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছে৷ মনে করা হচ্ছে ওই টুকরোগুলিও ওই বিমানেরই৷ অনুমান, আগুন লেগে অথবা বিস্ফোরণ হওয়ার ফলেই বিমানটি সমুদ্রে আছড়ে পড়ে৷
The post অবশেষে মিলল মালয়েশীয় বিমানের ধ্বংসাবশেষ appeared first on Sangbad Pratidin.