সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উদ্বেগের নয়া নাম ডিপফেক। একের শরীরে অন্যের মুখ বসিয়ে মুহূর্তে বদলে ফেলা হচ্ছে ছবি আর ভিডিও। তা দিয়ে কখনও টাকার জন্য ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে তো কখনও অন্যরকম ভয় দেখানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ফাঁদে পড়েছেন অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দানা থেকে আলিয়া ভাট। বাদ পড়েননি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তবে শুধুই সেলেবরা নন, এই সমস্যায় সাধারণ মানুষও। কীভাবে অনলাইনে এই ফাঁদ থেকে সুরক্ষিত থাকবেন? পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা।
১. অনলাইনে ভিডিও এবং ছবি দেওয়ার সময় সতর্ক থাকুন। খুব অপ্রয়োজনীয় ভিডিও কিংবা ছবি শেয়ার না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর করলেও অবশ্যই প্রাইভেসি সেটিং খতিয়ে দেখে নিন।
২. সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের পাসওয়ার্ডগুলি যেন অবশ্যই শক্তিশালী হয়। এছাড়াও ভিডিও এবং ছবিও লক করে রাখতে পারেন। এতে চট করে আপনার আপলোড করা ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করতে পারবে না। মাঝেমধ্যেই পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন।
[আরও পড়ুন: শাহি সভার জেরে যানজটের আশঙ্কা, মোকাবিলায় প্রস্তুত পুলিশ, কোন পথে ঘোরানো হবে গাড়ি?]
৩. নিজের ডিভাইসে নামী এবং জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। এতে সহজে আপনার মোবাইল কিংবা ল্যাপটপে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করতে পারবে না। ইউজারের ডেটা সংগ্রহের জন্য সাধারণত ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে থাকে হ্যাকাররা। আর এখানেই আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে অ্যান্টিভাইরাস।
৪. সোশাল প্ল্যাটফর্মে ছবি এবং ভিডিও ব্যবহারের ক্ষেত্রে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ওয়াটারমার্ক আপনাকে নিরাপদে রাখার জবর চাবিকাঠি। এমনিতে আপনার ছবি কিংবা ভিডিও যাতে অন্য কেউ নিজের নামে চালিয়ে দিতে না পারে, তার জন্যই ওয়াটার মার্ক ব্যবহার করা হয়। তবে বর্তমানে ডিপফেক থেকে বাঁচতে দারুণ কাজে দেবে এই অপশনটি। আবার কোথা থেকে ভিডিও বা ছবি চুরি করা হয়েছে, সেই সোর্সও জানা যাবে অনায়াসে।
৫. ডিপফেক বিষয়টি কী? এনিয়ে নিজে খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করুন। অন্যকেও জানান এবং তাঁদের থেকেও জানার চেষ্টা করুন। বিষয়টি নিয়ে যাবতীয় তথ্য থাকলে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুবিধা হবে।