সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেসলার সাগর রানা হত্যা মামলায় বিপদ বাড়ল কুস্তিগির সুশীল কুমারের। আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী দাবি করলেন, সুশীল কুমারই এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড। তিনি সহযোগী নন, মূল অভিযুক্ত। শুধু তাই নয়, সরকার পক্ষের দাবি দু’বারের অলিম্পিক (Olympic) পদকজয়ী রেসলার পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না। তদন্ত বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন। পুলিশের এই যুক্তিতেই দিল্লির আদালত সুশীলের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ আরও চারদিন বাড়িয়ে দিল।
শনিবার কুস্তিগির হত্যা মামলায় দিল্লির এক আদালতে (Delhi Court) পেশ করা হয় সুশীল কুমার-সহ অন্য অভিযুক্তদের। জুনিয়র কুস্তিগিরকে খুনের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত মোট ন’জনকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। এর আগে গত সপ্তাহেই সুশীল কুমারকে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু শনিবার পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, সুশীল-সহ অন্য অভিযুক্তরা তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। তাঁদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন না। সরকার পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, গত ছ’দিন ধরে সুশীল (Sushil Kumar) এবং তাঁর সহযোগীরা পুলিশের তদন্তে একেবারেই সহযোগিতা করেননি। তাই আরও চারদিন হেফাজতের অনুমতি দেওয়া হোক। সরকার পক্ষের সেই আরজি মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন কোর্টের বিচারক। যার ফলে আগামী চারদিন পুলিশ হেফাজতেই থাকতে হবে রেসলারকে।
[আরও পড়ুন: সুশীলের কথাতেই কুস্তিগিরকে মারধর! বিস্ফোরক দাবি রানা হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্তর]
প্রসঙ্গত, গত ৪ মে দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়ামের পার্কিং লটে সুশীল কুমার এবং তাঁর কয়েক জন সঙ্গীর সঙ্গে ঝামেলা হয় সাগর রানার (Sagar Rana)। ঝামেলায় মারপিটের জেরে মৃত্যু হয় বছর জুনিয়র কুস্তিগির রানার। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন সুশীল। ফোন লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইতিমধ্যেই তাঁকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করেছে রেল। কুস্তি ফেডারেশনের (WFI) বার্ষিক চুক্তি থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তারকা কুস্তিগিরকে। তদন্তকারীদের জেরায় সুশীল প্রথমে সহযোগিতা না করলেও পরে নাকি স্বীকার করে নিয়েছেন, তিনি রানাকে উচিত শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন। তাঁকে যাতে ভবিষ্যতে কেউ দুর্বল না ভাবে, সেটা বোঝাতেই রানাকে মারধর। কিন্তু তাঁকে খুন করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর। অর্থাৎ তিনি যে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা একপ্রকার স্বীকারই করে নিয়েছেন রেসলার।