সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Covid-19) আবহে PPE কিট পরে আসছেন চিকিৎসক। মুখে মাস্ক–ফেসশিল্ড। প্রত্যেকদিন নিজের শিফটে এসে দেখছেন একের পর এক রোগী। এর মধ্যে কারোর কারোর অবস্থা গুরুতরও। তাঁদেরও চিকিৎসা করছেন। ওষুধ লিখে দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ যদি জানতে পারেন, যিনি রোগী দেখছেন তিনি আসলে চিকিৎসকই নন, ভুয়ো। দৈনিক পারিশ্রমিকের লোভে অন্য একজন চিকিৎসকের জায়গায় এসে রোগী দেখছেন!
শুনতে অবাক লাগলেও ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে খাস রাজধানী দিল্লির (Delhi) লোক নায়ক জয়প্রকাশ নারায়ন বা LNJP হসপিটালে। অন্য চিকিৎসকদের সন্দেহের পরেই অভিযুক্তকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে আসল সত্যিটা। ইতিমধ্যে রশিদ খান নামে ওই ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কৃষকদের লাঠিপেটা করার প্রতিশোধ নয়, অতিথি আপ্যায়ণে পুলিশকর্মীদের খাওয়াল গুরুদ্বার]
তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ নামে LNJP হাসপাতালের এক জুনিয়র চিকিৎসক রয়েছে এই কাণ্ডের পিছনে। সেই দৈনিক ২০০০ টাকার বিনিময়ে রশিদকে এই কাজে নিয়োগ করেছিল। আসলে রশিদের চিকিৎসা সংক্রান্ত অল্পবিস্তর জ্ঞান ছিল। আর সেটিই নিজের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছিল বিশ্বজিৎ। সেই মতো প্রত্যেকদিন বিশ্বজিতের জায়গায় হাসপাতালে আসত রশিদ। রোগী দেখত। বেশ কয়েকজন সংকটজনক রোগীর চিকিৎসাও করে সে।
এর মধ্যেই হাসপাতালের অন্য চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা রশিদকে আটকে জেরা করে। পরিচয়পত্রও দেখতে চান তাঁরা। এরপরই আসল সত্যিটা সামনে আসে। তড়িঘড়ি পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ওই ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে। বিশ্বজিতের খোঁজে চলছে তল্লাশি। পাশাপাশি ঠিক কতদিন এভাবে কাজ করেছে রশিদ? তাও জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তবে এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্ন তুলে দিল দেশের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে।নড়চড়ে বসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই চিন্তিত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের আত্মীয়–পরিজনেরাও।