সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রী’র প্রথম পক্ষের সন্তানের দায়িত্ব দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীকে নিতেই হবে। এমনকী বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পরও। তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিল দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)। এক বিবাহবিচ্ছেদ মামলার ভিত্তিতে এই রায় দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট।
পুরো মামলাটি বেশ প্যাঁচালো। এক মহিলার প্রথম পক্ষের স্বামী ছিলেন একজন সেনা আধিকারিক। সেই সেনা আধিকারিকের মৃত্যুর পর ওই মহিলা ফের বিয়ে করেন। তাঁর প্রথম পক্ষের একটি মেয়ে ছিল। বিয়ের পর মেয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন দ্বিতীয় স্বামীই। কালক্রমে দ্বিতীয় পক্ষেও সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। দুই সন্তান নিয়ে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে সংসার বেশ চলছিল। কিন্তু কিছুদিন বাদে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। তাঁরা আলাদা থাকা শুরু করেন।
[আরও পড়ুন: আদানি কাণ্ডে চিনা নাগরিকের ‘সন্দেহজনক ভূমিকা’, জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসের]
এরপর ওই মহিলার দ্বিতীয় স্বামীও ডিভোর্সের (Divorce) মামলা করেন। দিল্লির একটি পারিবারিক আদালত ডিভোর্সের আবেদন মঞ্জুরও করে। কিন্তু সেই সঙ্গে দুই সন্তানেরই ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে বলেন ওই ব্যক্তিকে। দুই সন্তানের জন্য প্রথম পাঁচ বছর মাসিক ৫ হাজার টাকা এবং পরের পাঁচ বছর মাসিক ৬ হাজার টাকা ভরণপোষণের খরচ হিসাবে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল ওই পারিবারিক আদালত। কিন্তু তাতে রাজি হননি ওই ব্যক্তি। স্ত্রীর প্রথম পক্ষের মেয়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে হাই কোর্টে যান তিনি। তাঁর দাবি ছিল, তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর প্রথম পক্ষের কন্যার ভরণপোষণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীই নিয়েছে। তাই আলাদা করে ভরণপোষণের প্রয়োজন নেই।
[আরও পড়ুন: গালে গাল ঠেকিয়ে আবিরকে রং মাখালেন ঋতাভরী, ভালবাসায় রঙিন ‘ফাটাফাটি’র নয়া ভিডিও]
দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবা (Sanjeev Sachdeva) এবং বিকাশ মহাজনের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্ত্রীর আগের বিবাহে সন্তান রয়েছে জেনেই বিবাহে সম্মত হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। বিচ্ছেদের পর তাই সেই সন্তানদের দায়িত্বের ভার তাঁকেও নিতে হবে। এক্ষেত্রে অন্য কোনও যুক্তি শুনতে চায়নি আদালত। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ওই মহিলা যদি জানতেন, তাঁর দ্বিতীয় স্বামী তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তানের দায়িত্ব নেবে না, তা হলে হয়তো তিনি তাঁকে বিয়েই করতেন না। তাই ভরণপোষণের দায়িত্ব থেকে হাত গুটিয়ে নিতে পারেন না দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী।