সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৩ সপ্তাহের গর্ভবতী এক অবিবাহিতাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল না আদালত। দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়েছে, যেহেতু ওই মহিলার গর্ভস্থ সন্তানের বয়স ২০ সপ্তাহের বেশি হয়ে গিয়েছে, তাই তাঁকে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
সম্প্রতি ২৫ বছরের এক তরুণী এই আরজি জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সোমবারই তাঁর গর্ভে থাকা সন্তানের বয়স ২৪ সপ্তাহ হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় আদালতের কাছে আরজি জানিয়ে ওই তরুণী বলেন, তিনি স্বেচ্ছায় অন্তঃসত্ত্বা হলেও পরে তাঁর সঙ্গী তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, এই অবস্থায় ‘কুমারী মা’ হয়ে ওই সন্তানকে যদি তিনি জন্ম দেন, তাহলে তাঁকে মানসিক যন্ত্রণার পাশাপাশি সামাজিক কলঙ্কের ভারও বইতে হবে। তাছাড়া এই পরিস্থিতিতে মা হতে তিনি একেবারেই প্রস্তুত নন বলেও ওই তরুণী জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ধনকড়ের প্রতিদ্বন্দ্বী মার্গারেট আলভা, উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বাছল বিরোধীরা]
কিন্তু বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ তরুণীর আরজি খারিজ করে দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, সংবিধানের ২২৬ নম্বর পরিচ্ছদকে লঙ্ঘন করা সম্ভব নয়। এপ্রসঙ্গে আদালতের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ”যেহেতু ওই অবিবাহিত তরুণী স্বেচ্ছামিলনের ফলে গর্ভবতী হয়েছিলেন, তাই ২০০৩ সালের গর্ভপাত আইনের কোনও ধারাতেই তাঁকে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।”
আদালত আরও জানিয়েছে, কোনও ধর্ষিতা কিংবা নাবালিকা অবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে অথবা দাম্পত্য সম্পর্ক থেকে কেউ বেরিয়ে আসতে চাইলে আদালত তাঁদের ২৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাতের অনুমতি দিতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে এই তরুণীকে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া মানে শিশুটিকে হত্যারই শামিল। তবে তরুণীর আরজি শুনে আদালত জানিয়েছে, গর্ভপাত না করতে পারলেও ওই তরুণী চাইলে তাঁর সন্তানকে দত্তকের জন্য দিতে পারেন। পাশাপাশি দিল্লির স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের কাছে প্রতিক্রিয়াও জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।