সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সলমন খুরশিদের (Salman Khurshid) বিতর্কিত বইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার আর্জি খারিজ করল দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)। বিচারপতিদের বক্তব্য, যদি এই বই কারও ভাবাবেগে আঘাত করেই থাকে, তবে তিনি অন্য ভাল বই পড়ুন।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে সলমন খুরশিদের লেখা নতুন বই “Sunrise Over Ayodhya: Nationhood in Our Times”। ওই বইয়ের একটি পঙক্তিতে বলা হয়েছে, “সনাতন ধর্ম বা সনাতন হিন্দু ধর্মও উগ্র হিন্দুত্ববাদ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। এই উগ্র হিন্দুত্ব সবদিক থেকেই আইসিস (ISIS) বা বোকো হারামের (Boko Haram) মতো উগ্র জেহাদি সংগঠনের সমার্থক।”
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের কৃষিতে যুগান্তর আনবে নয়ডা বিমানবন্দর, শিলান্যাস অনুষ্ঠানে দাবি মোদির]
বৃহস্পতিবার খুরশিদের বই নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো আবেদনকারীর উদ্দেশে দিল্লি হাই কোর্ট বলে, “সাধারণ মানুষকে এই বই কিনতে ও পড়তে বারণ করছেন না কেন আপনি? সকলকে বলুন, এটি খুব খারাপ বই। পড়বেন না। যদি ভাবাবেগে আঘাত লাগে, তাহলে অন্য কোনও ভাল বই পড়ুন।” পালটা আবেদনকারী জানান, “বাক স্বাধীনতার অর্থ যা খুশি তাই হতে পারে না। মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করার অধিকার নেই কারও।” তিনি আরও বলেন, “খুরশিদের বই আর্টিকেল ১৯ লঙ্ঘন করেছে।” আবেদনকারীর উদ্দেশে কোর্টের বক্তব্য, “যদি আপনি প্রকাশকের লাইসেন্স বাতিল করতে চান, তো সেই বিষয়টি আলাদা। গোটা বইটি আদালতে জমা দেওয়া হয়নি। কেবল অংশবিশেষ দেওয়া হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: কেন কংগ্রেস ছেড়ে ঘাসফুলে? অবশেষে মুখ খুললেন মুকুল সাংমা]
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস নেতার বইটি প্রকাশমাত্র বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malabya) অভিযোগ করেন, “কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ হিন্দুত্বকে বোকো হারাম, আইসিসের মতো ইসলামিক জিহাদি সংগঠনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যে দল শুধু মাত্র ইসলামিক সন্ত্রাসের সঙ্গে তুলনা টানার জন্য হিন্দু সন্ত্রাসের তত্ত্ব তুলে আনে সেই দলের কাছে আর কী-ই বা প্রত্যাশা করা যায়। এসবই মুসলিম ভোট পাওয়ার আশায় করা।”
উল্লেখ্য, বই বিতর্কের জেরে গত ১৫ নভেম্বর সলমন খুরশিদের নৈনিতালের বাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটে। কংগ্রেস নেতার বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।