সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাম্পত্য কলহের জেরে নিজেদের সন্তানকেই স্বামীর বিরুদ্ধে উসকে দিতেন মহিলা। এই কাজ আসলে স্বামীকে মানসিক নির্যাতনের শামিল। এমনকী এই কাণ্ড করে সন্তানের প্রতিও অমানবিক আচরণ করেছেন মহিলা। একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের (Delhi High Court)। এইসঙ্গে যুবকের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতিরা।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির বাসিন্দা ওই দম্পতি ১৯৯৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আদালতে বিচ্ছেদের মামলা করেন যুবক। অন্যদিকে যুবকের বিরুদ্ধে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ তোলেন স্ত্রী। এমনকী যুবককে হাতেনাতে ধরতে ছোট মেয়েকে সঙ্গে নিয়েও একটি ভাড়া বাড়িতে যান তিনি। যদিও যুবকের অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার প্রমাণ মেলেনি।
[আরও পড়ুন: যার জন্ম হয়নি তারও জব কার্ড! ১০০ দিনের কাজে ‘তোলাবাজ’ তৃণমূলকে তোপ মোদির]
যুবক বিচ্ছেদ চাইলেও পারিবারিক আদালত সেই আবেদন খারিজ করেছিল। এর পরই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এবং বিচারপতি নীনা বনসল কৃষ্ণার ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কোনও ব্যক্তি স্বামী হিসাবে খারাপ মানে বাবা হিসাবেও খারাপ হবেন, এমনটা ধরে নেওয়া উচিত নয়। স্বামীর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ এনেছেন তিনি। সংসারে যাই ঘটুক, আট বছরের সন্তানকে একে অপরের বিরুদ্ধে ‘লড়াইয়ের হাতিয়ার’ করা যায় না। সব দিক বিচরা করে নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে যুবককে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।