অর্ণব আইচ: মাথার দাম এক লক্ষ টাকা। দিল্লি (Delhi) থেকে কলকাতায় (Kolkata) বাড়ি ভাড়া নিয়ে গা ঢাকা দিয়ে ছিল আন্তঃরাজ্য মাদক পাচারচক্রের চাঁই। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একবালপুর থেকে চন্দন কুমার নামে কুখ্যাত ওই মাদক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করলেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা। আদালতের অনুমতি নিয়ে তাকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দিল্লির দ্বারকা থানা এলাকায় পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল চারজন। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ মাদক। ধৃত চারজনকেই জেরা করে পুলিশ জানতে পারে যে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে দিল্লিতে পাচার হচ্ছে গাঁজা, চরস থেকে শুরু করে হেরোইনের মতো মাদকও। আর এই মাদক পাচারের মূলে রয়েছে চন্দন কুমার। বিহারের নওয়াদার ওয়ারসালিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মূলত দিল্লিতেই থাকতে শুরু করে। গত বছর সঙ্গীরা গ্রেপ্তার হওয়ার পরই দিল্লি থেকে উধাও হয়ে যায় চন্দন। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের টিম চন্দনের সন্ধানে হরিয়ানা, পাঞ্জাব, গুজরাট, রাজস্থানের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে। শেষ পর্যন্ত তার সন্ধান না পেয়ে দিল্লি পুলিশ চন্দনের মাথার উপর এক লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষনা করে। এর মধ্যে এক পরিচিতর সূত্র ধরে চন্দন কুমার কলকাতায় পালিয়ে আসে।
[আরও পড়ুন: ‘Mamata প্রধানমন্ত্রী হলে বাস্তবায়িত হবে Ghatal Master Plan’, কেন্দ্রকে খোঁচা দিয়ে দাবি দেবের]
একবালপুরের ভূকৈলাস রোডের একটি বাড়ি ভাড়া নেয়। বাড়ির মালিককে জানায়, সে মুম্বইয়ে চাকরি করত। কিন্তু লকডাউনের সময় সে কর্মহীন হয়ে পড়ে। তাই মুম্বই ছেড়ে কলকাতায় ভাগ্য অন্বেষণে এসেছে সে। বাড়িওয়ালা তার ‘দুঃখের কাহিনী’ শুনে তাকে থাকতে দিতে রাজি হন। খুব কমই বাড়ি থেকে বের হত সে। ভাড়া বাড়িতে বসেই সে অন্য মোবাইল ও সিমকার্ডের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে শুরু করে বিহারে তার পরিচিতদের সঙ্গে। সেই সূত্র ধরেই দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা জানতে পারেন যে, সে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে কলকাতায়। একবালপুরে তার আস্তানা খুঁজে বের করে পুলিশ। বাড়িটি ঘিরে নিয়ে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর দিল্লি পুলিশ তাকে একবালপুর থানায় নিয়ে আসে। কলকাতায় সে নতুন করে মাদক চক্র তৈরির ছক কষেছিল কি না, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।