সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাবধানে নিয়ম মেনে গাড়ি চালাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার ‘শাস্তি’ হিসাবে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) এক কনস্টেবলকে মারধর করার অভিযোগ উঠল এক মহিলা ও তাঁর দুই ছেলের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বৃদ্ধ পুলিশকর্মী। অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে বলেই খবর। তবে অভিযুক্ত মহিলার ভূমিকা নিয়ে এখনও তদন্ত চালাচ্ছে দিল্লি (Delhi) পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির তিলক নগর এলাকায়। আহত পুলিশকর্মীর নাম এম জি রাজেশ। গত শুক্রবার একটি গাড়িকে দ্রুত গতিতে চলতে দেখে সতর্ক করেন তিনি। জানা গিয়েছে, ওই গাড়ি চালাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভাই ও মা। বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালাতে দেখে তিনজনকেই সতর্ক করেন রাজেশ। তারপর নিজের গাড়ি নিয়ে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যান।
[আরও পড়ুন: আলোচনা চলছে ২৭ বছর ধরে, ব্যর্থ চারটি সরকার, কেন গুরুত্বপূর্ণ মহিলা সংরক্ষণ বিল?]
কিন্তু রাজেশকে অনুসরণ করে গাড়ি নিয়ে এগিয়ে আসেন তিন অভিযুক্ত। ফাঁকা জায়গায় গিয়ে ৫০ বছর বয়সি ওই পুলিশকর্মীকে গাড়ি থেকে টেনে বের করে আনেন তাঁরা। পাথর, রড দিয়ে মারধর করে তাঁকে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তিন অভিযুক্ত। ওই পুলিশকর্মীর গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। আহত অবস্থায় পুলিশকর্মীকে দেখতে পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় এক ব্যক্তি। এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই পুলিশকর্মী।
রাজেশ জানিয়েছেন, “আমি কোনওমতে এক যুবককে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরেই পাথর দিয়ে আমার আঘাত করেন এক মহিলা। একই সঙ্গে রড নিয়ে মারধর করে আরেক যুবক। তারপরেই অজ্ঞান হয়ে যাই।” জানা গিয়েছে, দুই ভাইকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। তবে তাদের সঙ্গে থাকা মহিলাকে এখনও আটক করা যায়নি।