shono
Advertisement

Breaking News

কৃষক আন্দোলন: FIR দায়ের হওয়ার পরও অবস্থানে অনড় গ্রেটা থুনবার্গ

গ্রেটার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল দিল্লি পুলিশ।
Posted: 06:12 PM Feb 04, 2021Updated: 06:12 PM Feb 04, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের কৃষক আন্দোলন (Farmers protest) নিয়ে টুইট করার পর থেকেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে গ্রেটা থুনবার্গকে (Greta Thunberg)। এবার গ্রেটার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল দিল্লি পুলিশ। পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ গ্রেটা মঙ্গলবার রাতে একটি টুইট করে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। পরে আরও একটি টুইট করেছিলেন তিনি। এবার সেই জোড়া টুইটের কারণেই এফআইআর দায়ের হল তাঁর বিরুদ্ধে। আর তারপরই ফের টুইট করে গ্রেটা জানিয়ে দিলেন, এরপরও তিনি কৃষকদের পাশেই আছেন।

Advertisement

প্রথম টুইটে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার সঙ্গে তিনি সিএনএনের একটি রিপোর্টও জুড়ে দেন। পরের টুইটে একটি টুলকিট অর্থাৎ একটি গুগল ডকুমেন্ট শেয়ার করেন তিনি। দাবি করেন, কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হলেও লড়াই থামবে না। এরপর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। বিপাকে পড়েন গ্রেটা। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দু’টি ধারা দায়ের হল মামলা। তাঁর তৃতীয় টুইটে গ্রেটা জানিয়ে দিয়েছেন, ”আমি এখনও কৃষকদের পাশেই আছি এবং তাঁদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সমর্থন করছি। কোনও ঘৃণা, হুমকি কিংবা মানবাধিকার লঙ্ঘন তা বদলাতে পারবে না।”

[আরও পড়ুন : দল বিরোধী মন্তব্য এবং সমর্থকদের উদ্ধত আচরণ! কানহাইয়া কুমারকে সতর্ক করল তাঁরই দল]

 

 

কেবল গ্রেটা নয়, মার্কিন পপ তারকা রিহানাও (Rihanna) কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে টুইট করেন। টুইট করেন প্রাক্তন পর্নস্টার মিয়া খালিফাও। বিদেশি সেলেব্রিটিদের এভাবে সম্মিলিত ভাবে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করাকে ভালভাবে নেয়নি কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক। এই ইস্যুকে এভাবে ‘চাঞ্চল্যকর’ করে তোলার বিরোধিতা করা হয় এক বিবৃতিতে। তোপ দাগেন অমিত শাহও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টুইটারে লেখেন, “কোনও প্রোপাগান্ডাই ভারতের একতাকে নষ্ট করতে পারবে না। ভারতকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছনো থেকে আটকানোর ক্ষমতা কোনও অপপ্রচারের নেই। প্রোপাগান্ডা করে ভারতের ভাগ্য নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। এটা শুধুমাত্র উন্নয়নের মাধ্যমেই হবে। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে ভারত সর্বদা ঐক্যবদ্ধই থাকবে।”

[আরও পড়ুন: ‘ইতিহাসে গুরুত্ব পায়নি চৌরী-চৌরার ঘটনা’, শতবর্ষের অনুষ্ঠানে আক্ষেপ মোদির]

রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালও একই দাবি করে জানান, দিনে দিনে ভারতের ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠাকেই ভয় পাচ্ছে আন্তর্জাতিক শক্তি। তাই ভারতের গণতান্ত্রিক শক্তিকে দুর্বল করে তুলতেই এই ধরনের চক্রান্ত করা হচ্ছে।

কেন্দ্রের সুরে সুর মেলাতে দেখা যায় অজয় দেবগণ, অক্ষয় কুমার, শচীন তেন্ডুলকরের মতো জনপ্রিয় তারকাদেরও। লিটল মাস্টার তাঁর টুইটারে সরাসরি লেখেন, ”বাইরের দেশের মানুষ দর্শক হতে পারেন কিন্তু দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। ভারতের বিষয়ে ভারতীয়রাই সিদ্ধান্ত নেবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement