সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণতন্ত্র দিবসের মাঝেই দিল্লিতে ধুন্ধুমার। প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ পুলিশের। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী ও পুলিশকর্মী।
[আরও পড়ুন: সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজপথে কুচকাওয়াজ বাংলাদেশের সেনাদলের]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, দিল্লির সঞ্জয় গান্ধী ট্রান্সপোর্ট নগরে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোঁড়া হয় টিয়ার গ্যাসও। এদিন সকালেও সিঙ্ঘু বর্ডার থেকে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল এসে পৌঁছয়। তারপরও পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন আন্দোলনরত কৃষকরা। পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সব মিলিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত রাজধানী দিল্লি।
উল্লেখ্য, কৃষি আইন বিরোধী বিক্ষোভ প্রায় দু’মাস ধরে চলছে। সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্ত থেকে রাজধানীতে প্রবেশ করে মেগা ট্রাক্টর র্যালির আয়োজন করেছে কৃষকরা। যার মহড়াও ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। আপাতত, এই প্রস্তাবিত ট্রাক্টর র্যালিই রক্তচাপ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের। প্রসঙ্গত, সমাধান খুঁজতে এ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে ১১বার বৈঠকে বসেছে কৃষক সংগঠনগুলো। কিন্তু সবটাই নিষ্ফলা। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এই সংক্রান্ত মামলার পর কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আপাতত দেড় বছর নয়া কৃষি আইন কার্যকর হবে না। মনে করা হয়েছিল, আপাতত কৃষক আন্দোলনে (Farmers protest) লাগাম পরানোর জন্যই তাদের এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু গত শুক্রবারের বৈঠকে আন্দোলনরত কৃষকরা সাফ জানান, স্থগিত নয়, আইন প্রত্যাহারই করতে হবে। অর্থাৎ নিজেদের দাবিতে অনড় কৃষকরা।
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেনের দ্বারস্থ হন এক বিক্ষোভরত কৃষক। প্রধানমন্ত্রীর মায়ের কাছে হরপ্রীত সিং (Harprit Singh) নামের ওই কৃষক অনুরোধ জানান, তিনি যেন নিজের সন্তানকে বুঝিয়ে কৃষি আইন বাতিল করার নির্দেশ দেন।