সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরপর তিন দিন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেল দিল্লি। ইতিমধ্যেই মারাত্মক পর্যায়ে চলে গিয়েছে রাজধানীর বাতাসের গুণমান। বন্ধ করা হয়েছে দিল্লির সমস্ত প্রাথমিক স্কুল। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে গোটা তাজমহল কার্যত অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে কুয়াশার চাদরে। তাজমহল দেখতে এসে হতাশ হয়ে ফিরেছেন পর্যটকরা। আগামী ৬ দিনও দিল্লির এমন বেহাল দশাই থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে IITM।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৬টার সময়ে দিল্লির আনন্দ বিহারে বাতাসের AQI পৌঁছে গিয়েছিল ৪৪১ পর্যন্ত। এছাড়াও বাতাসের মান খুব খারাপ পর্যায়ে গিয়েছে বাওয়ানা (৪৫৫), দ্বারকা সেক্টর (৪৪৪) এবং জাহাঙ্গিরপুরী (৪৫৮)তে। তার জেরে গত দুদিন ধরে ব্যাহত হয়েছে বিমান চলাচল। দূষণের মাত্রা মারাত্মক হওয়ায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে দিল্লির প্রশাসন।
শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে দিল্লির সমস্ত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়াও BS-III পেট্রল এবং BS-IV ডিজেলচালিত গাড়ি চালানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে প্রাথমিক স্কুল। আপাতত অনলাইনে পড়াশোনা চলবে বলেই জানানো হয়েছে। যেহেতু একাধিক যানবাহন বন্ধ রাখা হচ্ছে, তাই প্রতিদিন ৪০টি মেট্রো বেশি চলছে দিল্লিতে। দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, কালো ধোঁয়াশার চাদরে ঢেকে গিয়েছে তাজমহল। দর্শনার্থীরা তাজমহলের এক ঝলকও দেখতে পাননি কুয়াশার চাদর ভেদ করে। দূষণের জেরে ব্যাহত হচ্ছে উড়ান পরিষেবাও।
প্রসঙ্গত, দিল্লির এই পরিস্থিতি অবশ্য আচমকাই এতটা খারাপ হয়েছে তা নয়। গত মাসের শেষেই দেখা যায় শীতের মরশুম শুরু হতে না হতেই দিল্লিতে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। বাতাসের গুণমান সূচকও কমছে হু হু করে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষিজমিতে নাড়া (ফসলের গোড়া) আর খড়বিচালি পোড়ানোর কারণেই রাজধানীতে দিল্লিতে দূষণ মারাত্মক আকার নিতে থাকে।