সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার প্রকাশ্য রাস্তায় স্কুলপড়ুয়া কিশোরীকে অ্যাসিড ছোঁড়ে দুই যুবক। রাজধানী দিল্লির (Delhi) বুকে এহেন ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে। এবার এই ঘটনায় নাম জড়াল অনলাইন কেনাকাটার সংস্থা ফ্লিপকার্টের (Flipkart)। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, ফ্লিপকার্ট থেকে অ্যাসিড কিনেছিল অভিযুক্তরা। এতে প্রমাণিত কত সহজে অ্যাসিডের মতো মারাত্মক রাসায়নিক দুষ্কৃতীদের হাতে পৌঁছতে পারে, যদিও অ্যাসিড বিক্রি সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। এই অবস্থায় ফ্লিপকার্ট ও আমাজনকে (Amazon) নোটিস পাঠাল দিল্লির মহিলা কমিশন (Delhi Women Commission) ।
বুধবার দিল্লির দোয়ারকা অঞ্চলে অ্যাসিড হামলা হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দুই কিশোরী রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। সেই সময় বাইকে করে ঘটনাস্থলে আসে দুই যুবক। চলন্ত বাইক থেকেই কিশোরীকে লক্ষ্য করে তরল জাতীয় কিছু ছুঁড়ে দেয় তারা। মুখ ঢাকা অবস্থায় বাইকে চেপে পালিয়ে যায় দুই যুবক। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে আক্রান্ত কিশোরী। পরে দেখা যায়, স্থানীয়রা ওই কিশোরীর মুখ ধুইয়ে দিচ্ছেন। জানা গিয়েছে, কিশোরীর দুই চোখ অ্যাসিড লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে গুরুতর আহত কিশোরীর চিকিৎসা চলছে দিল্লির একটি হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন: আসানসোল দুর্ঘটনা: শুভেন্দুর রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের আরজি রাজ্যের, খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট]
যদিও হামলার কারণ নিয়ে অন্ধকারে পরিবার। কিশোরীর বাবা বলেন, “আমার দুই মেয়ে একসঙ্গে প্রতিদিন স্কুলে যায়। একজনের বয়স ১৭ বছর, অন্যজনের ১৩ বছর। আজ সকালে দু’জনে বেরিয়েছিল। হঠাৎই ছোট মেয়ে বাড়িতে এসে জানায়, দিদির দিকে অ্যাসিড ছোঁড়া হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তরা মুখ ঢেকে থাকায় তাদের চেনা যায়নি।” কিশোরীর বাবা আরও বলেছেন, তাঁর মেয়েকে কেউ উত্যক্ত করছে সেরকমও জানতেন না। “আগে জানলে মেয়েকে কক্ষনো একা ছাড়তাম না”
[আরও পড়ুন: স্ত্রীকে খুন করে ৪০০ কিলোমিটার দূরে দেহ পুঁতে দিলেন চিকিৎসক, করলেন নিখোঁজ ডায়েরি, তারপর…]
এদিন দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মোট তিনজন। কিশোরীর দিকে অ্যাসিড ছোঁড়ার পরিকল্পনা করে শচিন অরোরা (২০)। তাকে সাহায্য করে হরসিত অগরওয়াল (১৯) এবং বীরেন্দর সিং (২২)। শচিন ও হরসিত অ্যাসিড ছোঁড়ে। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে শচিনের স্কুটার ও ফোন ঘটনাস্থল থেকে দূরে একটি জায়গায় নিয়ে যায় বীরেন্দর। যদিও ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। এরপর পুলিশি জেরায় জানা যায়, শচিন অনলাইন কেনাকাটার সংস্থা ফ্লিপকার্ট থেকে অ্যাসিড কেনে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর দিল্লির মহিলা কমিশন নোটিস পাঠিয়েছে ফ্লিপকার্ট ও আমাজনকে। যেহেতু অনলাইনে অ্যাসিড বিক্রি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের।