সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের ১০০ দিনের কাজের টাকার বকেয়া নিয়ে বিবাদের মধ্যেই তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য দিল কেন্দ্র। আর্থিক সমীক্ষায় কেন্দ্র যে তথ্য প্রকাশ করেছে, সেই তথ্য অনুযায়ী, ১০০ দিনের টাকা বেশি খরচ করেছে তুলনামূলকভাবে ধনী রাজ্যগুলিই।
এমনিতে মনে করা হয়, যে রাজ্যে গ্রামীণ অর্থনীতি দুর্বল, সেই রাজ্যেই ১০০ দিনের কাজের চাহিদা বেশি হয়। কেন্দ্র টাকা আটকে দেওয়ার আগে বেশ কয়েক বছর বাংলা ১০০ দিনের কাজে দেশে শীর্ষস্থান দখল করে। সেসময় বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলত, বাংলার অর্থনীতির কাহিল দশার জন্যই ১০০ দিনের কাজের চাহিদা বেশি। একই সঙ্গে তোলা হত দুর্নীতির অভিযোগও। কিন্তু কেন্দ্রের তথ্য উলটো কথাই বলছে।
[আরও পড়ুন: মহামারী পেরিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশ, অর্থনৈতিক সমীক্ষায় শক্তিশালী ভারতের ছবি আঁকলেন নির্মলা]
আর্থিক সমীক্ষায় কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী শুধু তামিলনাড়ুতেই ১০০ দিনের কাজ বাবদ কেন্দ্রের মোট বরাদ্দের ১৫ শতাংশ টাকা খরচ হয়েছে। অথচ দাক্ষিণাত্যের রাজ্যটিতে গরিবের পরিমাণ মাত্র ১ শতাংশ। একই ভাবে কেরলে মাত্র ০.১ শতাংশ মানুষ 'গরিব' শ্রেণির। অথচ সেরাজ্যে ১০০ দিনের কাজের ৪ শতাংশ বরাদ্দ খরচ হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কমলাই কি পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট? উৎসবের প্রস্তুতি শুরু ‘দেশের বাড়ি’ তামিলনাড়ুতে]
ঠিক উলটো ছবি বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো 'গরিব' রাজ্যে। এই দুই রাজ্যেই বসবাস করেন দেশের ৪৫ শতাংশ গরিব মানুষ। অথচ, বিহারে মাত্র ৬ শতাংশ এবং উত্তরপ্রদেশে ১১ শতাংশ ১০০ দিনের টাকা খরচ করেছে। এর নেপথ্যে অবশ্য একটা কারণ হিসাবে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি। তথাকথিত এই গরিব রাজ্যগুলির বহু সাধারণ শ্রমিক ভিনরাজ্যে চলে যান কাজের জন্য। যার ফলে গ্রামে ১০০ দিনের কাজের চাহিদা কমছে।