সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে ক্রমে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। এই রোগের দাপটে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জনের। দেশজুড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েক হাজার রোগী। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে হাসিনা সরকারের চেষ্টা সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।
গত কয়েক মাস ধরেই ডেঙ্গুর দাপট বেড়ে চলেছে বাংলাদেশে। শুধু জুলাই মাসেই হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন ১২ হাজার ৯০০ জন। রোগের বলি ৫৯ জন। এখনও পর্যন্ত দেশের হাসপাতালগুলিতে মোট ২০ হাজর ৮৮৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ১০৬। দিন যত যাচ্ছে ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মনে করে, দেশে এখন ডেঙ্গুর ‘জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ চলছে। এটি জাতীয় উদ্বেগের বিষয়। তবে স্বাস্থ্যবিভাগের দাবি, এখনও জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করার মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি। ডেঙ্গু উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে গেলে তা জারি করা হতে পারে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি সেমিনার করে। অধিদপ্তরের ব্রিফিংয়ে ভারচুয়ালি উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। তিনি বলেন, “ডেঙ্গুতে পাবলিক হেলথ ইমারজেন্সি ঘোষণা করার মতো অবস্থা হয়েছে, এটা মনে করি না। কারণ, ২০০০ সাল থেকে দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ হচ্ছে। ডেঙ্গুর ম্যানেজমেন্টের একটা স্ট্যান্ডার্ড প্রটোকল আছে। এই প্রটোকল অনুসরণ করলে ডেঙ্গুতে ক্যাজুয়ালটি কমানো সম্ভব।”
[আরও পড়ুন: যেন আম আদমি! লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে হাসপাতালে চোখ পরীক্ষা করালেন শেখ হাসিনা]
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, “ডেঙ্গুতে সমস্যা হচ্ছে যখন হাসপাতালে রোগী আসেন, তখন শকড হয়ে তাঁরা আসেন। ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানো যাচ্ছে না। আমরা এর ঊর্ধ্বগতিই দেখছি। ডেঙ্গুর ধরণ বদলে যাচ্ছে, আমরা গবেষণা বাড়াতে বলেছি। এখনই কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। কোন ধরণের ওষুধ কোন মাত্রায় মশা নিধনে কার্যকর তা দেখতে বলেছি। নতুন কিছু থাকলে তা নিয়ে আসতে হবে। ডেঙ্গুতে সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ আসছে।”