সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরের (Bay of Bengal) উপরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে (Deep Depression) পরিণত হয়েছিল সোমবার। মঙ্গলবার ভোরে এটি উত্তর অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করেছে নার্সাপুর ও বিশাখাপত্তনমের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে। প্রবেশ করেছে স্থলপথে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টি হবে তেলেঙ্গানায়। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, গোয়া, মারাঠওয়াড়া, কোঙ্কন, মধ্য মহারাষ্ট্রের বিক্ষিপ্ত অঞ্চলে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর অন্ধ্র উপকূল, দক্ষিণ ওড়িশা ও বিদর্ভতেও।
আগে জানানো হয়েছিল, এই নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই রাজ্যে। ফলে পুজোর প্রস্তুতি পর্বে কোনও ব্যাঘাত ঘটবে না। তবে মঙ্গলবার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতায় আজ আংশিক মেঘলা আকাশ। বজ্রবিদ্যুৎ সহ দু-এক পশলা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সোমবারের নিম্নচাপটি অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে মঙ্গলবার ভোরে উত্তর অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করেছে। ওই অঞ্চলে হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ৫৫ থেকে ৬৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা। কোথাও কোথাও তা বেড়ে ৭৫ কিমি প্রতি ঘণ্টাও হতে পারে।আবহাওয়া দপ্তর এর আগেই জানিয়েছিল, এই নিম্নচাপের প্রভাবে ওড়িশা, তামিলনাডু ও পুদুচেরির উপকূল অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৭০ কিমি প্রতিঘণ্টা বেগে হওয়া বইতে পারে।
[আরও পড়ুন: ‘অন্য দেশের সঙ্গে হাত মেলানো রাষ্ট্রদ্রোহিতা’, ফারুক আবদুল্লাকে বিঁধলেন সম্বিত পাত্র]
প্রসঙ্গত, অক্টোবরে সাধারণত বঙ্গোপসাগরে এই ধরনের নিম্নচাপ তৈরি হয়। এর প্রভাবে পূর্ব উপকূল বিশেষত ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে ভারী বৃষ্টি হয়। ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাডু ও পুদুচেরি উপকূলে ও মান্নার প্রণালিতে সমুদ্রের পরিস্থিতি উত্তাল থেকে অতি উত্তাল থাকবে মঙ্গলবার সন্ধে পর্যন্ত। পশ্চিম-মধ্য, উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সতর্কতা জারি করা হয়েছ ওড়িশা-অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল, তামিলনাডু, পুদুচেরি, মান্নার প্রণালি অঞ্চলেও।