সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের অনেক আগে থেকে তৈরি বিরোধীদের INDIA জোট নিয়ে হাজার প্রশ্ন উঠেছে। তার কর্মকাণ্ড, ভবিষ্যৎ নিয়ে কেন্দ্রের শাসকদল কটাক্ষ কম করেনি। রাজ্যে রাজ্যেও এই জোটের পরিস্থিতি তেমন ভালো নয়। বাংলায় কোনও জোট বস্তুত হয়নি। এখানে তৃণমূল ৪২ আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। কংগ্রেস, সিপিএমও নিজেদের শক্তি নিয়ে লড়াই করছে। কিন্তু তাই বলে নির্বাচন পূর্ববর্তী INDIA জোটের ভবিষ্যৎ একেবারে অন্ধকারে, তা মোটেই নয়। রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে বিরোধীদের এই সভায় তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, সাগরিকা ঘোষরা সাফ জানিয়ে দিলেন, INDIA জোটে তৃণমূল ছিল, আছে, থাকবে। মনে করা হচ্ছে, ভোট পরবর্তী জোটের রাস্তা খোলা রাখলেন তাঁরা।
রবিবার থেকেই লোকসভা ভোটের প্রচারে নেমেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগরের ধুবুলিয়ায় দলীয় প্রার্থী তথা বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে জনসভা থেকে এদিন INDIA জোট নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। মমতার কথায়, “ইন্ডিয়া জোট আমি তৈরি করেছি। নামটাও আমার দেওয়া। ভোটের পর ওটা দেখে নেব।” INDIA জোটে জট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকেই ভোট দেওয়া। আরও একটা লেজুড় মুসলিম পার্টি হয়েছে। সেটাকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া।” তিনি বলেন, “আমরা একলা লড়ছি। আমি শুনেছি সিপিএম, কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটের হয়ে লড়ছে বলে বলেছে। আর এখানে তো জোটই হয়নি। এখানে ঘোঁট হয়েছে।” এতেই ইঙ্গিত ছিল, ভোটের আগে আসন সমঝোতা নিয়ে টানাপোড়েনের ফলে এককভাবে লড়াই করলেও প্রয়োজনে নির্বাচন পরবর্তীতে তিনি এই জোট নিয়ে সক্রিয় হতে পারেন।
[আরও পডুন: নিঃসন্তান মহিলাকে দিনরাত গঞ্জনা! শাশুড়িকে ‘খুন’ করে আত্মসমর্পণ গৃহবধূর]
উল্লেখ্য, ভোটের আগে কেজরির গ্রেপ্তারিকে ইস্যু করে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন বিরোধীরা। রবিবারের রামলীলা ময়দানের সেই জমায়েত আসলে INDIA জোটেরই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটা রাস্তা মাত্র। তবে সবটাই ভোট পরবর্তী। এদিনের সভায় ডেরেক, সাগরিকা ছাড়াও বক্তব্য রেখেছেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, তেজস্বী যাদব, শরদ পওয়াররা।