সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারা পৃথিবীতেই সারের মূল্য হু হু করে বেড়েছে। কিন্তু মোদি সরকার অতিরিক্ত ভরতুকি দিয়ে দেশের কৃষকদের বিপদে পড়তে দেয়নি। এমনটাই জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। মার্কিন সফরে গিয়েছেন নির্মলা। সেখানেই বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ঈশ্বর প্রসাদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই প্রসঙ্গ উঠে আসে অর্থমন্ত্রীর মুখে।
ঠিক কী বলেছেন নির্মলা? ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”কেবল সার ও জ্বালানির অগ্নিমূল্যই নয়, এই সামগ্রীগুলির জোগানও এখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জের হয়ে উঠেছে।” তিনি মনে করিয়ে দেন, বিশ্বের কয়েকটি অংশে সারের জোগানের অভাব ও অগ্নিমূল্যের কারণে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ট্রেন থেকে ১২ লক্ষ টাকার সোনার গয়না লুট কাঁকিনাড়ায়, সর্বস্ব খুইয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা প্রৌঢ়ের]
ভারত কীভাবে সারের অগ্নিমূল্যের সঙ্গে লড়াই চালিয়েছে? এপ্রসঙ্গে নির্মলা বলেন, ”গত বছর আমদানি করা সারের মূল্য ১০ গুণ বেড়ে গিয়েছিল। অথচ আমাদের দেশীয় কৃষকদের সাধ্যের মধ্যে সার চাই। সুতরাং আমি আমদানিকৃত সারের দাম বেড়েছে বলে তাঁদের উপরে এই অতিরিক্ত দামের বোঝা চাপিয়ে দিতে পারি না।” সেই সঙ্গে তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন, কেন্দ্র এই অতিরিক্ত মূল্যের ভরতুকি দিয়ে সারের দাম খোলা বাজারে বাড়তে দেননি।
নির্মলার কথায়, ”কৃষকরা ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ এমনকী আজও যে দামে সার পাচ্ছেন, তা আন্তর্জাতিক মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় অনেকটাই কম।”
পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি যে ক্রমেই করোনাকালের কালো সময়কে অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে আসতে পেরেছে সেকথাও বলেন নির্মলা সীতারমণ। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাজেটের সময় অর্থনৈতিক বৃদ্ধির দিকে বিশেষ লক্ষ রাখবে অর্থ মন্ত্রক। উল্লেখ্য, আগামী ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত আমেরিকায় থাকবেন নির্মলা। বিশ্ব ব্যাংক ও IMF-এর বার্ষিক বৈঠকে যোগ দিতেই মূলত তাঁর এই সফর। সেই সঙ্গে G20 সদস্য় দেশগুলির অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন তিনি।