shono
Advertisement

মায়ানমারে নির্বাচনের পরই রোহিঙ্গা জট খুলতে উদ্যোগী ঢাকা, বৈঠকের জন্য চিনকে অনুরোধ

আলোচনায় দিল্লিকেও পাশে চায় ঢাকা।
Posted: 02:47 PM Nov 08, 2020Updated: 02:51 PM Nov 08, 2020

সুকুমার সরকার, ঢাকা: মায়ানমারের উদাসীনতায় দোদুল্যমান রোহিঙ্গা (Rohingya) প্রত্যাবাসন উদ্যোগ। রবিবার মায়ানমারে নির্বাচনের পর এ নিয়ে তৎপর হতে চায় বাংলাদেশ। প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করার জন্য ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের কথা ভাবছে ঢাকা (Dhaka)। বাংলাদেশ, চিন ও মায়ানমার – এই তিন কমিটির বৈঠকের জন্য বেজিংকে (Beijing) অনুরোধ জানানো হয়েছে ঢাকার তরফে। এই প্রক্রিয়ায় দিল্লিকে যুক্ত হওয়ার অনুরোধও করেছে ঢাকা।

Advertisement

বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘‘আমাদের মূল লক্ষ্য প্রত্যাবাসন এবং এর জন্য ‘আসিয়ান প্লাস প্লাস’ দেশগুলোর সহায়তা আমরা চেয়েছি। আসিয়ান ছাড়া নিকট প্রতিবেশী চিন ও ভারত এবং দূরবর্তী প্রতিবেশী জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলে এটি আরও কার্যকর হবে।’’ বিদেশ সচিব বলেন, ‘‘আমরা ভারতকে অনুরোধ করেছি এই উদ্যোগে শামিল হওয়ার জন্য এবং তারা যুক্ত হলে আমরা স্বাগত জানাব।’’ বাংলাদেশ এক শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য অপেক্ষা করছে, তা জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ‘‘স্বদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থা আনা প্রয়োজন এবং বেশি সংখ্যক দেশ সম্পৃক্ত হলে এই আস্থা অর্জন সহজ হবে। আমরা আশা করি, নির্বাচনের পরে মায়ানমারে গণতন্ত্র সুন্দরভাবে এগিয়ে যাবে। যে উদ্যোগগুলো থেমে আছে, সেগুলো গতি পাবে।’’

[আরও পড়ুন: হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ, বাংলাদেশে আছড়ে পড়ল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ!]

রবিবার মায়ানমারে নির্বাচন। রাখাইনে মোট ২৯টি আসনে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই, এই অজুহাতে ১৬টিতে নির্বাচনই হচ্ছে না। রোহিঙ্গা নিধনে এই রাখাইন প্রদেশই উঠে এসেছিল খবরের শিরোনামে। নির্বাচনের পর কী হবে, সে সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশের বিদেশ সচিব বলেন, ‘‘প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক গত বছর অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং বাংলাদেশ, চিন ও মায়ানমারকে নিয়ে গঠিত ত্রিপক্ষীয় কমিটির বৈঠকও অনেক মাস ধরে হচ্ছে না। আমরা চিনকে অনুরোধ করেছি, মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক নির্বাচনের পরে আয়োজন করার জন্য।’’

[আরও পড়ুন: চুক্তি সাক্ষরিত, ঢাকাকে করোনা ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ বিক্রি করবে সেরাম ইনস্টিটিউট]

চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে সচিবের বক্তব্য, ‘‘আমরা সবাইকে নিয়ে একটি কার্যকর ব্যবস্থা তৈরি করতে চাই।’’ রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারের সঙ্গে চিন যোগাযোগ রাখছে বলে জানান বিদেশ সচিব। তিনি বলেন, ‘‘আস্থা তৈরির জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি সেখানে ঘরবাড়ি তৈরি করতে হবে, জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে এবং অন্যান্য মৌলিক সুবিধা দেওয়ার জন্য পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। রাষ্ট্রসংঘের সংস্থাগুলো সকলের সহায়তা নিয়ে সেটি করতে পারে।’’ এ বিষয়ে বাংলাদেশ সহায়তা করবে, সেই আশ্বাস দিয়ে বিদেশ সচিবের মন্তব্য, এটি শুধু মায়ানমারের সামরিক বাহিনী নয়, রাখাইনে যারা রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন করেছিল, তাদেরও দায়বদ্ধতা দরকার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement