সুকুমার সরকার, ঢাকা: উৎসবের মরশুমে খাদ্যরসিকদের জন্য সুখবর। ফের রাজ্যে বাজারে এল বাংলাদেশি ইলিশ। এই দফায় প্রায় ২০০ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ পাঠাল পড়শি দেশ। ফলে পুজোর মুখে বাংলার মানুষ মনের সুখে পদ্মার ইলিশের স্বাদ নিতে পারবেন বলেই মনে করছেন তাঁরা। দামও থাকবে সাধ্যের মধ্যে।
দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা হিসাবে বেনাপোল-হরিদাসপুর স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ৮৭৫ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। যার মূল্য ১ কোটি ৮৭ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। ভারতীয় অর্থে যার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। প্রতি কেজি ইলিশের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ মার্কিন ডলার। ভারতীয় অর্থে কমবেশি ১০০০ টাকা। রপ্তানি করা প্রতিটি ইলিশের ওজন ১ কেজি ২০০ গ্রাম। বৃহস্পতিবার সর্বশেষ চালানে ১৯৭ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
[আরও পড়ুন : ধর্ষণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান, নয়া আইন আনতে চলেছে বাংলাদেশ]
শার্শা উপজেলা মৎস্য আধিকারিক আবুল হাসান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুই দফায় ১৩ জন রপ্তানিকারককে মোট ১ হাজার ৮৭৫ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ১২ মেট্রিক টনের ইলিশের প্রথম চালান ভারতে রপ্তানি হয়। ৮ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৫টার সময় সর্বশেষ চালানে ১৯৭ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি হয়।
বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে প্রায় ২০০ মাছ রপ্তানিকারক ভারতে ইলিশ রপ্তানির জন্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু সকললে অনুমতি দেওয়া হয়নি। এবার বাংলাদেশে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা-সহ সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। যে মাছের দাম খুবই কম। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিকোচ্ছে ৮০০-১১০০ টাকা। আর তার কম ওজনের ইলিশ ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত দাম না মেলায় খুশি নন মৎস্যজীবীরা। তাই ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত।
[আরও পড়ুন : ঢাকাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয় নয়াদিল্লি, বলছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত]
দেশের চাহিদা মেটাতে ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ভারতে ইলিশ (Hilsa) রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। তবে গত বছর দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির ব্যবস্থা করেছিলেন। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রতি বছর হাজার হাজার টন ইলিশ চোরাই পথে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতে পাচার হত। এবার অবশ্য প্রায় ১৯০০ মেট্রিক টন ইলিশ এল বঙ্গে।