সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উমেশ যাদবকে (Umesh Yadav) বোল্ড করতেই মারলেন ‘এক ঢিলে দুই পাখি’। বিদর্ভের (Vidarbha) তারকার স্টাম্প উপড়ে ফেলতেই রেকর্ড গড়ে সর্বাধিক ৪২বার রনজি ট্রফি (Ranji Trophy Final) জিতল মুম্বই (Mumbai)। একইসঙ্গে সেই ডেলিভারি শেষ করতেই প্রথম শ্রেণির কেরিয়ারে দাড়ি টানলেন ধবল কুলকার্নি (Dhawal Kulkarni)। এবং এর পরেই চোখের জলে পয়া ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম ছাড়লেন এই তারকা পেসার। অবশ্য এটা শুধু তাঁর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ ছিল না। এই জয়ের সঙ্গে আরও একটি নজির গড়লেন তিনি। কেরিয়ারে মোট ছয়বার রনজি ফাইনাল খেলে পাঁচবার ট্রফি হাতে তোলার স্বাদ পেলেন ধবল।
এবং কেরিয়ারের বিদায়বেলায় এই সাফল্য পেয়েই অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানেকে ধন্যবাদ জানালেন ধবল। আসলে তুষার দেশপান্ডে ও তানুশ খৈতানের দাপটে ৩৬৪ রানে ৯ উইকেট হারায় বিদর্ভ। ফলে আর মাত্র এক উইকেট পেলেই, মুম্বইয়ের জিতে মাঠ ছাড়ার সুযোগ ছিল। ঠিক সেই সময় ধবলের হাতে বল তুলে দেন অজিঙ্কা রাহানে। এবং এর পর বাকিটা ইতিহাস। ১৩৪.৩ ওভারের মাথায় উমেশকে বোল্ড করতেই উচ্ছ্বাসে লাফিয়ে ওঠেন ধবল। কারণ মুম্বইকে আরও একবার রনজি জেতানোর পাশাপাশি কেরিয়ারের শেষ বলে উইকেট পেলেন তিনি। ১৬৯ রানে জিতে আরও একবার ‘ভারতসেরা’ হল মুম্বই।
[আরও পড়ুন: হার্দিক নন, রোহিতকেই অধিনায়ক হিসেবে দেখতে যান যুবরাজ! কিন্তু কেন?]
এর পর ধবল বলেন, “সব ক্রিকেটার কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ জিততে চায়। আমিও ব্যতিক্রম নই। গোটা কেরিয়ারে ছয়বার রনজি ফাইনাল খেলে পাঁচবার ট্রফি জয়। এর চেয়ে ভালোভাবে কেরিয়ার শেষ হতে পারত না।” এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। রাহানেকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “রাহানের ব্যবহার আমার দারুণ লেগেছে। ও আমার হাতে বল তুলে না দিলে কিছুই বলার ছিল না। কারণ তুষার ও তানুশ দারুণ বোলিং করছিল। ফর্মে থাকার পরেও সবাই আমাকে সম্মান জানাল। এটা আমার কাছে অনেক বড় সম্মান।”
২০০৮ সালে শুরু করেছিলেন প্রথম শ্রেণির কেরিয়ার। গত ১৬ বছরে ৯৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে নিয়েছেন ২৮১টি উইকেট। এরমধ্যে ১৫বার পাঁচ ও ১০বার ১০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছেন ধবল। এমনকি শেষ ম্যাচেও তাঁর দাপট বজায় ছিল। প্রথম ইনিংসে ১৫ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ধবল নিয়েছিলেন ৩৮ রানে ১ উইকেট।