সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগে ধূপগুড়ির উপনির্বাচন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছেই ছিল অ্যাসিড টেস্ট (Acid Test)। সেই পরীক্ষার ফলাফলে তৃণমূল দারুণ নম্বর নিয়ে পাশ করেছে। আর বিজেপি অনেক চেষ্টা করেও তেমন পারফর্ম করতে পারেনি। আর বাম-কংগ্রেস জোট, যাকে বলে ডাহা ফেল। যেখানে তৃণমূল (TMC) প্রার্থী ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর ঝুলিতে ৯০ হাজারের বেশি ভোট, সেখানে জোট প্রার্থীর প্রাপ্তি আটকে গিয়েছে ১৩,৬৬৬-তে। শতাংশের দিক থেকে মাত্র ৬! তবে জনরায় মাথা পেতেই গ্রহণ করেছেন বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়। শুক্রবার গণনার শুরুতে সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে যাওয়ায় তৃতীয় রাউন্ড শেষেই গণনাকেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন তিনি। খানিকটা হতাশ গলায় বললেন, ”ভোট তো শান্তিপূর্ণই হয়েছে, তবু জনসমর্থন পেলাম না। কী আর করা যাবে? মেনে নিতে হবে।”
সাগরদিঘি মডেল খানিকটা লড়াইয়ে ফিরিয়েছিল বাম-কংগ্রেসকে। সাগরদিঘির (Sagardighi) উপনির্বাচনে জোট প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের জয় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল আলিমুদ্দিন, বিধান ভবনের। যদিও দলকে শেষ পর্যন্ত হতাশ করে তৃণমূলে গিয়ে যোগ দিয়েছেন সাগরদিঘির বিধায়ক। তবে লড়াইয়ের গুরুত্ব তো তাই বলে কমে না। সেই আত্মবিশ্বাসে ভর করেই ধূপগুড়িতেও জোট প্রার্থী দিয়েছিল বাম-কংগ্রেস। সিপিএমের ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে সমর্থন করে কংগ্রেস। কিন্তু তাঁর মার্কশিট সমস্ত আশায় জল ঢালল। অর্থাৎ সাগরদিঘি মডেল ডাহা ফেল ধূপগুড়িতে (Dhupuguri)।
[আরও পড়ুন: গুগলে ‘Jawan’ টাইপ করলেই শাহরুখ দিচ্ছেন সারপ্রাইজ! বিশ্বাস না হলে নিজেই দেখুন]
ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে সিপিএমের (CPM) ভোটপ্রাপ্তি শতাংশের হারেও অনেক পিছনে। তবে এই ভোটের ফলাফল গ্রহণ করে নিলেন জোট প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়। বললেন, ”এই ফলাফল মেনে নিচ্ছি। এমনিতে বাই-ইলেকশনের ফলাফল শাসকদলের দিকে ঝুঁকে থাকে। এখানেও তেমনই হল। আর তাছাড়া অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে ধূপগুড়িকে মহকুমা করবেন বলে ঘোষণা করেছেন, সেটা অবশ্যই একটা ফ্যাক্টর হয়েছে।” প্রার্থী না হয় হার মানলেন, কিন্তু ধূপগুড়ির ফলাফলে আলিমুদ্দিন কী ভাবছে? সেই প্রশ্ন উঠছে নিচুতলার কর্মীদের মনে।
[আরও পড়ুন: দপ্তর বদলের ফাইল নিয়েও রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মাঝেই বাবুলের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক]
ফলাফল নিয়ে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিমের প্রতিক্রিয়া, ”আমরা ফলাফলের বিস্তারিত হাতে পাই, তারপর বসে সব পর্যালোচনা করব। তবে এটুকু বলতে পারি যে সিপিএম মাটিতে পড়ে থেকে লড়াই করেছে।”