স্টাফ রিপোর্টার: মঞ্চে নেতাদের ভিড়। নিচে মেরেকেটে কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি শ’দুয়েক। মঙ্গলবার ধর্মতলায় বিজেপির শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলী দিবস অনুষ্ঠানে মঞ্চে কেন্দ্রীয় থেকে রাজ্য নেতারা থাকলেও ভিড় ছিল না সভাস্থলে।
মঞ্চের সামনে ও দু’পাশে জটলা বেঁধে কিছু কর্মী-সমর্থক থাকলেও পিছনে বহু চেয়ার ফাঁকাই পড়ে রইল। দলের গুরুত্বপূর্ণ এই কর্মসূচিতেও ধর্মতলায় রাস্তার ধারে ছোট সভাস্থলও কেন ভরানো গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে গেরুয়া শিবিরের (BJP) অন্দরেই।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলকে বদনামের চেষ্টার অভিযোগ, দেবের ভাইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ রাজ্যের মন্ত্রী]
রাজ্য বিজেপির উদ্যোগে এদিন ভোট পরবর্তী হিংসার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি হিসেবে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলী দিবস পালন করা হল। ৫৬ জন শহিদ পরিবারকে নিয়ে আসার কথা থাকলেও তার অর্ধেক উপস্থিত হয়েছিল বলে খবর। যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, চল্লিশটির মতো শহিদ পরিবার এসেছিল। আবার বাবুঘাটে গঙ্গার ধারে বসে একসঙ্গে শহিদ তর্পন করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ও সুকান্ত মজুমদার। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত থাকলেও তর্পণ করতে সুকান্ত-দিলীপদের পাশে অবশ্য বসেননি তিনি।
এদিন ধর্মতলায় শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলী সভায় বক্তব্য রাখেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মঙ্গল পাণ্ডে, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্য প্রমুখ। ছিলেন সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য, আশা লকড়া-সহ দলের বিধায়করা। এদিন ধর্মতলার সভাস্থল থেকে মিছিল করে বাবুঘাটে তর্পনের উদ্দেশ্যে আসেন বিজেপি নেতারা।