সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালদহে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express) ঢিল ছোঁড়ার জের গড়াল বহুদূর। এ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষের অভিযোগ, এই ঘটনা পূর্বকল্পিত ষড়যন্ত্র। বাংলাকে বদনাম করার মতো সস্তা রাজনীতির জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাঁর বক্তব্যের পালটা দিয়ে বিজেপি (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ”যারা হামলা চালিয়েছে, তারা কারা? আগেই বলেছি, বাংলা কাশ্মীর হয়ে গিয়েছে। এখন কাশ্মীর শুধরে গিয়েছে। দেশের সম্পত্তিকে একাংশ শত্রুর সম্পত্তি বলে মনে করছে।”
সোমবার বিকেলে মালদহে (Maldah) ঢোকার মুখে কুমারগঞ্জ এলাকায় এনজেপি-হাওড়াগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে কেউ বা কারা পাথর ছোঁড়ে। তাতে একটি কোচের কাচের দরজা ভেঙে গিয়েছে। এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে আরপিএফ পরিস্থিতি সামলে নেয়। পুখুরিয়া থানা তদন্তে নামে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টির গুরুত্ব বাড়তে থাকে। রেল মন্ত্রককে (Rail Ministry) এই সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয়। রেলওয়ে অ্যাক্টে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছে নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলের। সামসি ও কুমারগঞ্জ স্টেশন থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই এলাকা দিয়ে বন্দে ভারত যাওয়ার সময়ে নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত আরপিএফ মোতায়েন করা হবে।
[আরও পড়ুন: ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ ঘোষণা হতেই বিজেপির ‘গ্রামে চলো’ কৌশল]
মঙ্গলবার সকালে এনিয়ে তৎপর হয়ে রেল মন্ত্রক। প্রতিটি স্টেশনে ঘোষণা করা হচ্ছে সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় যত্নশীল হওয়ার বিষয়ে। ঘটনার পর টুইটে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) তীব্র নিন্দা করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন, এটা কি পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, বাংলাকে বদনাম করার জন্য? সস্তার রাজনীতির কথাও বলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের কাছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উপর হামলা চালানোর ঘটনার তুলনা করেছেন কুণাল ঘোষ।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার ‘অপরাধ’, মৃত্যুদণ্ড ইরানের সাহিত্যিককে]
বিজেপিও পালটা জবাব দিতে শুরু করেছে। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ পর্যন্ত তীব্র সমালোচনায় মুখর। দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কথায়, ”আগেও বলেছি, কাশ্মীর শুধরে গেছে। বাংলা কাশ্মীর হয়ে যাচ্ছে। দেশ বিরোধী শক্তি এই রাজ্যে এত সক্রিয়, এখানকার সরকার সেই শক্তিকে মদত দিচ্ছে। পার্লামেন্টে যখন CAA পাস হল, তখন বিরোধিতা অনেক রাজ্যে হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তিনদিন ধরে উৎপাত হয়েছে। আড়াইশো কোটি টাকার সম্পত্তি ধংস করা হয়েছে। যার সিংহভাগ রেলের সম্পত্তি। দেশের সম্পত্তিকে এই রাজ্যের একাংশ শত্রু সম্পত্তি মনে করতে শুরু করেছে। দেশের সংবিধানকে তারা শত্রুপক্ষের সংবিধান বলে মনে করছে। তারা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের লোক।”