shono
Advertisement

দুর্নীতি ভুলিয়ে রাখতে দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে অনুদান! মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় কটাক্ষ দিলীপের

দিলীপের মন্তব্যের পালটা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।
Posted: 11:14 AM Aug 23, 2022Updated: 11:18 AM Aug 23, 2022

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো (Durgapuja)। তাও আবার ইউনেস্কোর (UNESCO)  ‘হেরিটেজ’ তকমাপ্রাপ্ত। এই বিরল সম্মাননাকে উদযাপন করতে এবছর দুর্গাপুজো আরও রঙিন, একমাস ধরে উৎসব পালনের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সোমবার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হয়ে যাবে দুর্গোৎসব। ক্লাবগুলিকে সরকারি অনুদান বাবদ ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়ার হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণাকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মঙ্গলবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে তাঁর মন্তব্য, ”দুর্নীতি ভুলিয়ে রাখতে মুখ্যমন্ত্রীর এই দানধ্যান। এভাবেই বাঙালিকে ভুলিয়ে রাখতে হবে।”

Advertisement

পুজো কমিটিগুলির উপর থেকে আর্থিক চাপ কাটাতে অন্যান্য বছরের মতো একাধিক ছাড়ের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মোট ৪০ হাজার ৯২ টি কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। গত বছর পর্যন্ত মণ্ডপের বিদ্যুতের বিলে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হত। এবার সেই ছাড়ের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। পুজো মণ্ডপগুলির দমকলের খরচ, বিজ্ঞাপন-সহ বিভিন্ন কর লাগে না। এবারও সেই ধারা বজায় থাকছে। আগের মতোই পুজোর অনুমতি চেয়ে আবেদন করা যাবে অনলাইনে।

[আরও পড়ুন: ‘CBI কার জানি না, পাবলিকের টাকায় চলছে’, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে আরও আক্রমণাত্মক দিলীপ]

এই ঘোষণায় পুজো উদ্যোক্তাদের মুখের হাসি চওড়া হলেও বিরোধীরা এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। মঙ্গলবার সকালে ইকো পার্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ”লীলা-মেলা-খেলা যে বাংলায় চলে, সেটা করেই বাংলা বাঙালিকে ভুলিয়ে রাখতে হবে। বড় মিছিল করুন, নাচ-গান খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করুন, আমরা কেষ্ট-পার্থর নাম ভুলে যাব। কার বাপের টাকা গেছে, আমার কী? ৫০০ টাকা পেয়েছি, আমি তাতেই খুশি। পুজো করার জন্য ৬০ হাজার টাকা পেয়েছি, তাতেই খুশি।”

[আরও পড়ুন: ‘বৈদিক ভিলেজে’ প্রশিক্ষণ শিবিরের খরচ ২ কোটি! কর্মসূচি ঘিরে ফের আদি-নব্য দ্বন্দ্ব গেরুয়া শিবিরে]

দিলীপের এই মন্তব্যের অবশ্য পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন (Santanu Sen)। তাঁর মন্তব্য, ”প্রধানমন্ত্রী যে গোটা দেশই প্রায় বিক্রি করে দিচ্ছেন, তখন কোনও প্রতিবাদ নেই। এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া দুর্গাপুজোকে আরও ভালভাবে করতে মুখ্যমন্ত্রী যদি ক্লাবগুলিকে সাহায্য করে থাকেন, তাহলে তাঁর গায়ে লাগছে কেন? আসলে ওঁদের দলে তো দ্বন্দ্ব বাড়ছেই। কে কখন কী বলছেন, কী করছেন, ঠিক নেই। এখন দিলীপবাবুর কথা দল গ্রাহ্য করছে না। তাই তিনি প্রতিদিন মর্নিং ওয়াকে এসব কথা বলে রাজনীতিতে ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement