রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: পুরনো একটি মামলায় কাঁথি আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। আদালত থেকে বেরিয়েই সোজা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ি শান্তিকুঞ্জে যান তিনি। তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর সঙ্গে কথাবার্তা হয়। শান্তিকুঞ্জেই সারেন মধ্যাহ্নভোজও।
এদিনের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, আলুভাজা, সবজি, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, সরষে ইলিশ, দেশি মুরগির ঝোল এবং আমের চাটনি। খাওয়াদাওয়ার পর শান্তিকুঞ্জ থেকে দিব্যি খোশমেজাজে বেরোন দিলীপ ঘোষ। মধ্যাহ্নভোজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মাছ-ভাত জিন্দাবাদ।”
[আরও পড়ুন: ‘দোষ স্বীকার করুক KMRCL’, বউবাজারে মেট্রো প্রকল্পে বিভ্রাটের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ফিরহাদ]
শুভেন্দু এবং সৌমেন্দু অধিকারী ফুলবদল করেছেন আগেই। আপাতত পদ্মশিবিরে রয়েছেন তাঁরা। সম্প্রতি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন শিশির অধিকারী। হলদিয়াকে ‘বঞ্চিত’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে এখনও খাতায় কলমে তৃণমূলেই রয়েছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক। দিব্যেন্দু অধিকারীও রয়েছেন তৃণমূলেরই সাংসদ। তাঁদের বাড়িতেই দিলীপ ঘোষের মধ্যাহ্নভোজ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। তবে কি এই মধ্যাহ্নভোজের নেপথ্যে অন্য কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ জট পাকাচ্ছে, কানাঘুষো সে বিষয়েও আলোচনা চলছে।
যদিও এদিনের মধ্যাহ্নভোজ নিয়ে আলাদা করে কোনও রাজনীতি হোক, তা চান না খোদ দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “অনেকদিন ধরে শিশিরবাবুর সঙ্গে দেখা হয়নি। কাঁথি এসেছিলাম। একবার দেখা করে গেলাম। শিশিরবাবু বাড়িতে আছেন। ভাল আছেন। স্ত্রী অসুস্থ হয়েছিলেন। শুনেছিলাম। ছেলেদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এবার ওঁর সঙ্গে দেখা করে গেলাম।”
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গে আসেন অমিত শাহ। তাঁর জনসভার পর কাঁথি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। অশান্তির পরই দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপি নেতৃত্বের নামে কাঁথি থানায় মামলা দায়ের হয়। দিলীপ ঘোষের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। ওই মামলাতে হাজিরা দিতেই শুক্রবার কাঁথি আদালতে হাজিরা দেন দিলীপ ঘোষ। কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর কার্যালয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর শান্তিকুঞ্জে মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি।
দেখুন ভিডিও: