রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: প্রত্যাশামতোই ফের রাজ্য বিজেপির সভাপতি হলেন দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে আয়োজিত রাজ্য বিজেপির সংগঠন পর্ব বৈঠকে পরবর্তী সভাপতি হিসাবে ফের দিলীপ ঘোষের নাম ঘোষণা করা হয়। আগামী তিন বছরের জন্য দিলীপ ঘোষের নাম রাজ্য সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সার্টিফিকেট তুলে দেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুরলীধর রাও। দিলীপ ঘোষকে মালা পরিয়ে অভিনন্দন জানান রাজ্য নেতারা। জানা গিয়েছে, সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত দিলীপ ঘোষ। দিলীপের সেকেন্ড ইনিংসে উচ্ছ্বসিত রাজ্য বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে খবর, সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য নেতৃত্বের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক কিরেন রিজিজু দিলীপ ঘোষের মনোনয়ন জমা নেন বিজেপির রাজ্য দপ্তরে। মনোনয়নে স্বাক্ষর করেন দিলীপ। শেষ পর্যন্ত কোনও মনোনয়ন আর জমা পড়েনি বলে তিনিই ফের সভাপতি হলেন রাজ্য বিজেপির। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘কর্মীদের জন্য লড়াই করেছেন ১৮ জন সাংসদ। সবাইকে ধন্যবাদ। এবার বাকি কাজ শেষ করব।’
[আরও পড়ুন: ‘অশান্তি ছড়ালে গুলি করেই মারব’, বিতর্কের মাঝেও নিজের অবস্থানে অনড় দিলীপ]
প্রসঙ্গত, যতই তিনি বিতর্ককে সঙ্গী করে চলুন না কেন, এ রাজ্যে বিজেপির বিরোধী শক্তি হিসাবে উত্থান তাঁর সভাপতিত্বেই। গত লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসনে জয় যার প্রকৃত উদাহরণ। নানা সময়ে বক্তব্যের মধ্যে হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর উপর। রাজ্যের বুদ্ধিজীবী ও প্রশাসনিক মহলের উপরও সদা খড়গহস্ত মেদিনীপুরের সাংসদ। তবুও সমালোচনা উপেক্ষা করে তিনি অবিচল, নিজের অবস্থানে অনড়। যা মনে করেন সেটা স্পষ্ট ভাষায় বলেন বলে হাইকমান্ডের আস্থাভাজন দিলীপ। একইসঙ্গে গরমাগরম বক্তব্য রাখার জন্য নিচুতলার কর্মীদের মধ্যেও সমান জনপ্রিয় তিনি। আগের সভাপতি রাহুল সিনহাও সেই জনপ্রিয়তা ছুঁতে পারেননি। তাই দলে ‘শক্তপোক্ত’ নেতা হিসাবে কোনও বিকল্প নেই এই মুহূর্তে, যিনি আগামী বছর বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে পারবেন।
The post সভাপতি পদে দ্বিতীয় ইনিংস, দিলীপেই আস্থা বঙ্গ বিজেপির appeared first on Sangbad Pratidin.