সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জয়নগর কাণ্ডের রেশ কাটার আগেই আমডাঙায় খুন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। যা নিয়ে শোরগোল সবমহলে। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার জন্য পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বললেন, “পুলিশমন্ত্রী দায়িত্ব সামলাতে পারছেন না যখন পদ ছেড়ে দিন।” শাসকদলকে নিশানা করলেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তীও। এদিকে আমডাঙা খুনে ইতিমধ্যে আনোয়ার হোসেন মণ্ডল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এফআরআই-এ নাম রয়েছে ৪ জনের।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সন্ধেয়। ৩৪ নং জাতীয় সড়কের (NH 34) পাশে কামদেবপুর হাটে গিয়েছিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডল। সেখানেই তাঁকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও প্রাণরক্ষা হয়নি। রাতেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তৃণমূল। ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে আমডাঙা। এলাকায় মোতায়েন প্রচুর পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে একের পর হত্যা, অশান্তির দায় পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাঁধেই চাপালেন দিলীপ ঘোষ।
[আরও পড়ুন: থানায় মৃত্যু: দেহে আঘাতের চিহ্নমাত্র নেই, মৃত্যু স্বাভাবিক, দাবি প্রাথমিক ময়নাতদন্তে]
এদিন দিলীপ বলেন, “পুলিশমন্ত্রী ২ মাস ধরে ঘরে বসে আছেন। উনি যে পারবেন না তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। দায়িত্ব নিতে পারছেন না যখন ভাইপোকে দায়িত্ব দিয়ে দিন।” রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। এবিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “জয়নগর শান্ত হওয়ার আগেই আমডাঙা। তৃণমূল নেতাদের মধ্যে বখরার লড়াই ভয়ংকর জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।” তাঁর সাফ দাবি, এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তৃণমূল নেতাদের অন্তর্কলহের কারণেই। এর সঙ্গে বিরোধীদের কোনও যোগসূত্র তৈরির চেষ্টা করা হলে তা ভুল হবে।