সুকুমার সরকার, ঢাকা: চলতি বছর সীমাহীন দাবদাহে পুড়ছে বাংলাদেশ। হাঁসফাঁস গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষের জীবন। প্রখর তাপে এবার টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে রাজশাহীগামী সিল্কসিটি ট্রেনের হাইড্রোলিক ব্রেক থেকে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস রেলওয়ে স্টেশনের কাছে বেঁকে গিয়েছে একটি রেললাইনের পাত।
চলতি বছর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে পশ্চিমের জেলা রানাঘাট মহকুমা সংলগ্ন চুয়াডাঙ্গায়। পারদ ছুঁয়েছে ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার বিকেলে মহেড়া স্টেশন ক্রসিংয়ের সময় রাজশাহীগামী সিল্কসিটি ট্রেনের হাইড্রোলিক ব্রেক থেকে আগুন লেগে যায়। সেই সময় ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে ট্রেন থেকে দ্রুত নামার সময় হুড়োহুড়িতে অন্তত ১০ জন আহত হন। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। মহেড়া রেল স্টেশন মাস্টার সোহেল খান জানিয়েছেন, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামানোর সময় গরমের কারণে হাইড্রোলিক ব্রেক থেকে আগুন লেগে যায়। যাত্রীরা সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। ট্রেন থেকে লাফিয়ে নিচে নামার কারণে আহত কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘ভূমিখেকো’দের আগুনে পুড়ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১৫টি স্থান, কারা এরা?]
এদিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড তাপের কারণে ঈশ্বরদী বাইপাস রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি রেললাইনের পাত বেঁকে যায়। এ ঘটনায় অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ট্রেন কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস। রেলওয়ে অফিসের লোকজন দুঘণ্টা রেললাইনের ওপর জল ঢেলে তাপমাত্রা কমিয়ে আনেন। তার পর বেঁকে যাওয়া পাত স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরে।
এনিয়ে রেলওয়ের ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে কর্মরত শ্রমিক শুভ হোসেন জানিয়েছেন, কপোতাক্ষ ট্রেনটি ঈশ্বরদী ছাড়ার পর ওই স্টেশনের কাছে যে লাইনে ট্রেনটি যাচ্ছিল সেটি দূর থেকে দেখে বাঁকা মনে হচ্ছিল। তখনই স্টেশন মাস্টার তাওলাদ হোসেন বিষয়টি দেখে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে আধিকারিকদের জানান। সঙ্গে সঙ্গে পরিবহণ কর্মকর্তা, সহকারী ইঞ্জিনিয়াররা অন্য কর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রেনটিকে পিছনে এনে অন্য লাইন দিয়ে থ্রো পাস করার ব্যবস্থা নেন। এতে অল্পের জন্য বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।