shono
Advertisement

দিওয়ালিতে বাজি রুখতে কড়া লালবাজার, এই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলেই পৌঁছে যাবে পুলিশ

বাজি বিক্রি রুখতে চলছে ধরপাকড়ও।
Posted: 10:42 PM Nov 11, 2020Updated: 10:42 PM Nov 11, 2020

অর্ণব আইচ: উৎসব আলোর হোক, বাজির নয়। কালীপুজো (Kali Puja) ও দীপাবলির আগে এই প্রচার শুরু করে দিল পুলিশ।

Advertisement

পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, কেউ যদি বাজি ফাটায়, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার বাজি রুখতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করল পুলিশ। লালবাজার জানিয়েছে, ১০০ ডায়াল অথবা ৯৪৩২৬-১০৪৪৪ এই নম্বরে ফোন করলে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবে। পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, গত কয়েক বছর কলকাতার যে অঞ্চলগুলিতে বেশি নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফেটেছে, এই বছরও সেই অঞ্চলগুলির উপর বেশি নজর দিতে হবে। এছাড়াও কলকাতার অন্যান্য এলাকাগুলির উপর থাকবে পুলিশের নজর। এই ব্যাপারে বৃহস্পতিবার প্রত্যেক থানার ওসি ও পুলিশকর্তাদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়ার জন্য বৈঠকে বসতে পারেন লালবাজারে কর্তারা। এই বৈঠকে দমকল ও অন্যান্য আপৎকালীন পরিষেবার আধিকারিকরা উপস্থিত থাকতে পারেন।

[আরও পড়ুন: বিহারে বাংলার জয়, ভোটে দাঁড়িয়ে বিজয় ঝান্ডা ওড়ালেন খিদিরপুরের ব্যবসায়ী]

এদিকে, এই বছর বিশেষভাবে পুলিশের পক্ষে বলা হয়েছে, দীপাবলির (Diwali 2020) উৎসব যেন আলোরই হয়। বাজি যাতে কোথাও না ফাটে। এই ব্যাপারে এখন থেকেই জোর প্রচারে নেমেছে পুলিশ। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে প্রচার। এদিন পূর্ব কলকাতার বেলেঘাটার বাজি নিয়ে প্রচারে নামেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও পুলিশ অফিসাররা। তাঁরা একটি মিছিলের আয়োজন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডে পুলিশ ও পুরসভার যৌথ প্রচার চালাচ্ছে।

এদিকে লালবাজারের কর্তাদের কড়া নির্দেশে কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে বাজি ধরা শুরু হয়েছে। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, পূর্ব কলকাতার বেনিয়াপুকুর এলাকার বাঁদরপট্টি থেকে নামে এক তরুণকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে ১২ কিলো বাজি উদ্ধার হয়েছে। ট্যাংরায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে সাড়ে দশ কিলো বাজি। বাঘাযতীন রেল গেটের কাছে সন্দেহজনক এক ব্যক্তিকে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ তাড়া করে। ব্যাগ ফেলে সে পালিয়ে যায়। ব্যাগটি থেকে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, যে বাজিগুলি উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই শব্দবাজি। চকলেট বোমার সংখ্যা বেশি। রেল চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চোরাপথে ট্রেনে করে বাজি পাচারের সম্ভাবনা বেড়েছে। পুলিশ সেদিকে নজর রাখছে।

[আরও পড়ুন: অন্যায়ের শাস্তিতে সামাজিক কাজ, স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশে অপুষ্ট শিশুদের ডিম খাওয়াবে মেডিকা]

এদিকে, কলকাতার আবাসন ও বসতিগুলির কাছে মাইকিং করে পুলিশ প্রচার চালাতে শুরু করেছে। আবাসনগুলির মধ্যে অথবা বাড়ির ছাদে যাতে বাজি পোড়ানো না হয়, পুলিশ সেই বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। অলিগলিতে বাজি ফাটানো রুখতে অটো করেও পুলিশ টহল দেবে। বাড়ির ছাদগুলিতে বাজি পোড়ানো হচ্ছে কি না, সেদিকে আকাশপথে নজর দেওয়ার জন্য প্রত্যেকটি এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement