পাঁচ শতকের বিতর্কের অবসান। অযোধ্যায় বিতর্কিত স্থানে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়েই ঐতিহাসিক রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হল। করোনা পরিস্থিতিতে সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করে সম্পন্ন হল ভূমিপুজো। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রে ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নিত্যগোপাল দাস, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল।
রাত ৯.১৫: সন্ধে হতেই আলোয় ভাসল রাম জন্মভূমি। অযোধ্যায় অকাল দীপাবলি। বিভিন্ন স্থানে শ্রী রাম লিখে জালানো হল প্রদীপ। সেজে উঠল সরযূ নদীর তীর।
রাত ৯.০০: রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর দিনে সুদূর শ্রীলঙ্কাতেও উৎসবের আমেজ। সেখানেও মন্দিরে হল বিশেষ পুজো।
রাত ৮.৩৫: ভূমিপুজো উপলক্ষে সেজে উঠেছে লখনউও। যোগী আদিত্যনাথের অফিস সাজল ফুল ও দীপে।
রাত ৮.১৫: ভূমিপুজোয় শামিল মার্কিন মুলুকও। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়্যারের বিলবোর্ডে ভেসে উঠল রাম মন্দিরের ছবি।
সন্ধে ৭.৩০: রাম মন্দিরের ভূমিপুজো নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের। মামলা দায়ের AIMIM প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসির বিরুদ্ধে।
সন্ধে ৭.০০টা: রাজনীতির জন্য মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর তীব্র সমালোচনা করলেন সিপিআইএমের সীতারাম ইয়েচুরি।
বিকেল ৪টে: আজ প্রধানমন্ত্রী অযোধ্যায় মন্দিরের ভূমিপুজো করার সাথে সাথেই হিন্দুত্বের কাছে ধর্মনিরপক্ষেতার পরাজয় হয়েছে। বললেন আসাদুদ্দিন ওয়েইসি।
দুপুর ৩টে: রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ৫ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নায়ডুর পরিবারের। করোনা ত্রাণেও ৫ লক্ষ টাকা দেবেন তাঁরা।
দুপুর ২টো: ভূমিপুজোর মঞ্চ থেকেও আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন দেখালেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বললেন, “প্রভু রামের দেখানো পথে আমরা সবকা সাথ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা বিকাশ করব। এই আদর্শ মেনেই আগামী দিনে ভারত আত্মনির্ভর হবে।”
দুপুর ১ টা ৪০: শ্রীরামচন্দ্রের মন্দির আমাদের আধুনিক সংস্কৃতির প্রতীক হবে। এই মন্দির নির্মাণের পর এই এলাকার অর্থনীতিই বদলে যাবে। পুরো পৃথিবী থেকে প্রভু রাম এবং মাতা জানকীর দর্শন করতে এখানে আসবেন, বললেন প্রধানমন্ত্রী।
দুপুর ১ টা ৪০: স্বাধীনতার মতোই বহু মানুষ রাম মন্দিরের জন্য বলিদান দিয়েছেন। যাদের ত্যাগ আর তপস্যার জন্য আজ এই স্বপ্ন সফল হয়েছে, তাঁদের সবাইকে আমি ১৩০ কোটি ভারতবাসীর তরফে মাথা নিচু করে প্রণাম করছি, মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর।
দুপুর ১টা ২৫: আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বললেন,”রাম মন্দির আন্দলনে বহু মানুষ শহিদ হয়েছেন। আজ গোটা দেশে খুশির আবহ। সব ধর্মের মানুষ খুশি। কারণ, সবার মধ্যে রাম আছেন।”
দুপুর ১ টা ১০ মিনিট: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত দেখিয়ে দিয়েছে বিচারব্যবস্থার শক্তিতে কীভাবে সব ইস্যু শান্তিপূর্ণভাবে মেটানো যায়। ভিত্তি স্থাপনের পর বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
দুপুর ১২টা ৫০: শেষ অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভূমিপুজো।
দুপুর ১২ টা ৪৮: ইতিহাস তৈরি হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে। অযোধ্যায় শিলান্যাস হল রাম মন্দিরের। দুপুর ১২টা ৪৪ মিনিট ৮ সেকেন্ডে রাম মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করলেন মোদি।
দুপুর ১২টা ৩৫: এখনও রীতি মেনে চলছে ভূমিপুজো। পুজোর স্থলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রামভক্তদের পাঠানো ৯টি ইট রাখা হয়েছে। আর কিছুক্ষণ পরই শিলান্যাস।
দুপুর ১২টা ৫: ভূমিপুজোর মূল অনুষ্ঠানে পৌঁছালেন মোদি। সামাজিক দূরত্ব মেনে শুরু মূল অনুষ্ঠান।
সকালে ১১ টা ৫০: হনুমান গড়ি মন্দিরে পুজো দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রপন করলেন পারিজাত বৃক্ষ।
সকাল ১১টা ৩০: অযোধ্যা পৌঁছালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৯ বছর পর এই প্রথমবার অযোধ্যার মাটিতে পা পড়ল প্রধানমন্ত্রীর। তাঁকে স্বাগত জানালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
সকাল ১১টা: অযোধ্যায় পৌঁছালেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।
সকাল ১০টা ৪০: মূল অনুষ্ঠানমঞ্চে একে একে আসতে শুরু করেছেন অতিথিরা। সামাজিক দূরত্ব মেনে আসন গ্রহণ করেছেন উমা ভারতী, রামদেব-সহ অন্যান্য অতিথিরা।
সকাল ১০টা ২০: রামজন্মভুমিতে পৌঁছালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল এবং বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী।
সকাল ১০টা: হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, একে অপরের ভাই-ভাই! আমার ভারত মহান,মহান আমার হিন্দুস্তান! ভূমিপুজোর আগে সম্প্রীতির বার্তা মমতার।
সকাল ৯ টা ৩৫: দিল্লি থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাড়ে ১১ টা নাগাদ পৌছবেন তিনি।
সকাল ৯টা ৩০: প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত অযোধ্যা, সেজে উঠেছে রামজন্মভূমিস্থল।
সকাল ৯টা ২০: অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ছিল, আছে আর থাকবে। বিতর্কিত মন্তব্য আসাদুদ্দিন ওয়েইসির।
সকাল ৯টা ১০: ওয়াশিংটনে প্রবাসী ভারতীয়রা রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর আগে আনন্দে মেতেছেন।
সকাল ৯টা: ৫ আগস্ট মন্দিরের শিলান্যাস উপলক্ষে জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
সকাল ৮টা ৫০: প্রধানমন্ত্রীর মন্দির ভ্রমণ আমাদের জন্য গর্বের মুহূর্ত। বললেন, হনুমান গড়ি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত।
সকাল ৮টা ৪০: পুরি-ওড়িশা-খ্যাত বালি শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েক ওড়িশার পুরী সৈকতে রাম মন্দিরের ভূমি পূজা উপলক্ষে একটি বালির ভাস্কর্য তৈরি করেছেন।
সকাল ৮টা ৩৫: অযোধ্যায় যোগগুরু রামদেব (Ramdev)। বললেন, আজ একটা ঐতিহাসিক দিন। আমি নিশ্চিত, রাম মন্দির নির্মাণের পরই দেশে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠিত হবে।
সকাল ৮টা ৩০: প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে গোটা অযোধ্যা।
সকাল ৮টা ২০: রাম জন্মভূমি স্থলে শুরু হয়ে গিয়েছে মূল অনুষ্ঠানের আচার, রীতিনীতি। চলবে বেলা ২টো পর্যন্ত।
সকাল ৮টা: প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে সাজিয়ে তোলা হয়েছে হনুমাগড়ি মন্দির। ভূমিপুজোর আগে এই মন্দিরে পুজো দেবেন মোদি (Narendra Modi)।
[আরও পড়ুন: অবশেষে তৈরি হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত মন্দির, অকাল দীপাবলি অযোধ্যায়, শহরজুড়ে গেরুয়া রংয়ের ছটা]
সকাল ৭টা ৪০: সাতসকালে সরযূ নদীর তিরে তীর্থযাত্রীদের ভিড়। মহানন্দে স্নান সারছেন রামভক্তরা।
সকাল ৭টা ২০: গোটা অযোধ্যা শহরে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত। শহরের প্রতিটি মোড়ে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বিশেষ বাহিনী।
সকাল ৭টা: রাম মন্দিরের ভূমিপুজো উপলক্ষে অকাল দীপাবলির আবহ অযোধ্যায়। সেজে উঠেছে গোটা শহর।
The post অযোধ্যায় অকাল দীপাবলি, আলোয় রঙিন হল সরযূর তীর appeared first on Sangbad Pratidin.