সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষকপদে নিয়োগে অত্যধিক সময় লাগার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তার ‘শাস্তি’ হিসাবে পেলেন বেধড়ক মার। গোটা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মাটিতে পড়ে রয়েছেন একজন চাকরিপ্রার্থী। লাঠি দিয়ে তাঁকে মারধর করছেন এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি একজন সরকারি আধিকারিক। পাটনার (Patna) ঘটনা ঘিরে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। নীতীশ কুমারের সরকারের তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি।
জানা গিয়েছে, শিক্ষকপদে নিয়োগ করতে অনেক সময় নিচ্ছে সরকার। সেই কারণেই পাটনার ডাক বাংলা চৌরাস্তায় বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেখানেই বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বিশাল সংখ্যায় পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে জলকামানও ব্যবহার করা হয়। সেই সময়ের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। নির্মমভাবে এক প্রতিবাদীকে (Patna Protest) মারের দৃশ্য দেখে সরব হয়েছে নেটিজেনরা।
[আরও পড়ুন: অ-স্থানীয়দের ভোটাধিকার: সর্বভারতীয় দলগুলির কাছে সাহায্য প্রার্থনা আবদুল্লা-মুফতির]
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নাগরিক পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তি লাঠি দিয়ে একজন বিক্ষোভকারীকে বেধড়ক মারধর করছেন। পরে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি পাটনার অ্যাডিশনাল জেলাশাসক কেকে সিং। যে চাকরিপ্রার্থীকে মারধর করছেন তিনি, সেই বিক্ষোভকারীর হাতে একটি জাতীয় পতাকা ধরা রয়েছে। বারবার হাতজোড় করে থামতে বলছেন ওই বিক্ষোভকারী, তবু থামছেন না জেলাশাসক। পরে বিক্ষোভকারীর হাত থেকে ওই পতাকা ছিনিয়ে নেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, পরীক্ষায় পাশ করেছেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও তাঁদের নিয়োগপত্র দিচ্ছে না সরকার।
এনডিএ জোট ভেঙে মহাজোটের সরকার গঠিত হয়েছে বিহারে (Bihar)। সেই সরকারের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব বলেছিলেন, ক্ষমতায় এসেই শিক্ষকদের চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রাখেনি সরকার। এই প্রসঙ্গ তুলে নীতীশ কুমারকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাদের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেছেন, “নীতীশ কুমার কুড়ি লক্ষ চাকরি দেবেন বলেছিলেন। উলটে নীতীশ কুমারের পুলিশ চাকরিপ্রার্থীদের লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে। জাতীয় পতাকার প্রতিও নূন্যতম সম্মান দেখানো হয়নি। এটাই মহাজোটের সরকারের আসল চেহারা।”
অন্যদিকে এহেন কাজের নিন্দায় সরব হয়েছে কংগ্রেসও। রাজ্যের মুখপাত্র অসিত নাথ তিওয়ারি বলেছেন, “এই জেলাশাসকের বিরুদ্ধে দমননীতি গ্রহণ করার অভিযোগ রয়েছে। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে একজন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিল। তাকে মারধর করা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। ওই জেলাশাসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে হবে। ” অভিযুক্ত জেলাশাসক বলেছেন, ওই অঞ্চলে বিক্ষোভ দেখানোর অনুমতি নেই। যাঁরা ওখানে বিক্ষোভ করেছেন, তাঁদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: CBI-এর প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে ফের দলকে চটালেন দিলীপ ঘোষ! রিপোর্ট তলব শীর্ষ নেতৃত্বের]