শেখর চন্দ, আসানসোল: করোনা (Coronavirus) রুখতে সমস্ত গণপরিবহণ বন্ধ করা হয়েছে। একাধিক ক্ষেত্রে জারি নিষেধাজ্ঞা। এই পরিস্থিতিতেও বিয়ে হল রানিগঞ্জে। বিয়ের পর নবদম্পতি যখন বাড়ি ফিরছেন, ঘড়ির কাঁটায় প্রায় বেলা দুটো। রাস্তায় চলছে পুলিশের টহলদারি। গাড়ি আটকাল পুলিশ। নবদম্পতিকে স্যানিটাইজার দিয়ে পুলিশ হাতজোড় করে অনুরোধ করলেন, “বাড়িতে গিয়েই ডিজে বক্সে টুম্পা সোনা গান বাজাবেন না। বেঁচে থাকলে অনেক আনন্দ উল্লাস করতে পারবেন।” পুলিশের কথায় লজ্জায় লাল হল দম্পতি।
রানিগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড় দু’নম্বর জাতীয় সড়কে প্রহরা চলছিল পুলিশের। বেলা দশটার পর রাস্তায় অযথা গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতেই পুলিশের তল্লাশি অভিযান। মারুতি ভ্যানের দরজা খুলতেই দেখা মিলল নবদম্পতির। জানা গেল, ওই দম্পতি আসানসোলের ঘাঘরবুড়ি মন্দির থেকে বিয়ে করে ফিরছেন রানিগঞ্জের শিশুবাগান এলাকায়। দুজনের হাত স্যানিটাইজ করে কর্তব্যরত পুলিশ হাতজোর করে আবেদন করলেন, “ভোজ-টোজ করবেন না। ভোজ করলেও ৫০ জনের বেশি নয় কিন্তু। মুখে মাস্ক পরবেন। স্যানিটাইজার রাখবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। গান-বাজনা বন্ধ। যদি মানুষ বেঁচে থাকে অনেক আনন্দ উৎসব করার সুযোগ পাবেন।”
[আরও পড়ুন: তিনদিন ধরে খাদ্যনালীতে আটকে থাকা কয়েন বের করে খুদের প্রাণ বাঁচালেন চিকিৎসক]
করোনা কালে মানুষ যখন আতঙ্কিত, বিভ্রান্ত তখন খানিকটা মজার ছলেই ওই পুলিশ অফিসারের সিরিয়াস পরামর্শ, “একবছর পর বিবাহবার্ষিকী। ২৫ বছর পর সিলভার জুবিলি হবে। তারপরে গোল্ডেন জুবিলি। কিন্তু এসবতো হবে বেঁচে থাকলে তবেই। এখন খুব অবস্থা খারাপ। একদম জমায়েত করবেন না।” রানিগঞ্জ পুলিশ অনুরোধ করলেন, “পাড়ায় গেলেন। ডিজেতে টুম্পা সোনা গান বাজিয়ে দিলেন। এসব যেন না হয়।”