রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: চিকিৎসকদের নামে কতই না দুর্নাম! কত-শত অভিযোগ। তবু নিজেদের কাজ করে চলেছেন তাঁরা। ঠিক যেমন গভীর রাতে একরত্তি শিশুর পরিবারের কাছে স্বয়ং ঈশ্বর হয়ে উঠলেন শিশু চিকিৎসক ডাঃ প্রবীর ভৌমিক। তিনদিনের শিশুকে নিজেই রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন ডাক্তার।
জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদা এলাকার এক শিশু জন্মের পর থেকেই শরীরে বিলিরুবিনের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। তিনদিনের মাথায় শিশুর শরীরে বিলিরুবিনের পরিমাণ তরতরিয়ে বাড়তে শুরু করে। কোলাঘাটের বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে আসা হয় শিশুকে। দ্রুত রক্ত পরিবর্তন করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। কিন্তু তখন রাত দুটো।
[আরও পড়ুন: দেশজুড়ে ‘বয়কট মালদ্বীপে’র ডাক, দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি কেন?]
গভীর রাতেই রক্ত পরিবর্তন জরুরি হয়ে পড়ে। ফলে চিকিৎসক নিজেই রক্ত দিয়ে শিশু শরীরে রক্ত পরিবর্তন করেন। অর্থাৎ, শিশুর শরীরের রক্ত বের করে নতুন রক্ত শরীরে প্রবেশ করানো হয়। ডাঃ প্রবীর ভৌমিক বলেন, “শিশুর শরীরে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল। রক্ত পরিবর্তন না করলে মস্তিষ্কে প্রভাব পড়ত। গভীর রাতে রক্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে পরিবার সমস্যায় পড়ত। তাছাড়া রক্ত সংগ্রহ করার জন্যে সময় লাগতো। তাই নিজেই রক্ত দিয়েছি।” শিশুটির পরিবার চিকিৎসকের কাছে চিরকৃতজ্ঞ বলে জানাচ্ছে। তাঁদের কথায়, ডাক্তারবাবুই আমাদের কাছে ভগবান। উনি না থাকলে সন্তানকে বাঁচাতে পারতাম না।”