কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: দুই চিকিৎসককে হেনস্তার অভিযোগ উঠল দমদমে। মল রোডের বাসিন্দা ওই দুই চিকিৎসককে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ এবং মোবাইল ফোন ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগকারীদের নাম ঋতুপর্ণা বিশ্বাস এবং দীপান্বিতা বিশ্বাস। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে দমদম থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের বেসরকারি বাসের চালক-কনডাক্টরদের টিকাকরণ শুরু]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই চিকিৎসক দমদম মল রোডের একটি অভিজাত আবাসনের বাসিন্দা। অভিযোগ, তাঁরা চিকিৎসক হওয়ার কারণে ওই আবাসনেরই একতলার বাসিন্দা অনিতা জয়সওয়াল প্রত্যহ তাদের হেনস্থা করতেন। আবাসনের মধ্যে দেখা হলেও তাদের লক্ষ করে নানা কটূক্তি করতেন। তাঁরা করোনা ছড়াচ্ছেন আবাসনের মধ্যে, এই অভিযোগ তুলে হেনস্থার ঘটনা ঘটত। সোমবার তা চরমে পৌঁছায়। ওই দুই চিকিৎসক সকালে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বেরোতেই অভিযুক্ত মহিলা তাদের কটূক্তি করতে থাকেন। লিফটে উঠতেও বাধা দেন। প্রতিবাদ করায় হাতে থাকা একটি পাত্রের জল ছুঁড়ে দেন অঙ্কলজিস্ট ঋতুপর্ণাকে লক্ষ করে। এদিকে, সেই সময় হেনস্থার গোটা ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করছিলেন তার বোন দীপান্বিতা। তার হাত থেকে অনিতাদেবী মোবাইল কেড়ে তা ভেঙে দেন বলেও অভিযোগ। এরপরই তারা গোটা ঘটনাটির ভিত্তিতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দমদম থানায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে দীপান্বিতা বিশ্বাস জানিয়েছেন, “প্রত্যেকদিন সকালে আরজি কর হাসপাতালে কাজে যাওয়ার সময় অনিতাদেবীর সঙ্গে আবাসনের কোথাও দেখা হয় তখনই উনি আমাদের উদ্দেশ্য করে নানান কটূক্তি করেন। আমরাই করোনা ছড়াচ্ছি এবং আবাসনের লোকজন আক্রান্ত হতে পারে বলে অভিযোগ করতে থাকেন। লিফটে উঠতে গেলেও উঠতে দিতে চান না।” তিনি আরও বলেন, ” এদিনও দিদি এবং আমি একসঙ্গে বেরিয়ে ছিলাম নিজের নিজের কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য। প্রথমে উনি পথ আটকান। আমরা প্রতিবাদ করায় আমাদেরকে ধাক্কা দেন এবং আমাদের দিকে লক্ষ্য করে জল ছোড়েন এবং কটুক্তি করতে থাকেন। ভেঙে দেয়া হয় আমার ফোন। যেহেতু আমরা চিকিৎসক তাই আমাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছেন দমদম থানার আধিকারিকরা।”