সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অঝোরে কাঁদছে ১৫ বছরের নাবালিকা মেয়ে। কিন্তু চোখের জলের জায়গায় ঝরে পড়ছে পাথর! হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি সামনে এসেছে এমনই ঘটনা। যা দেখার পর হতবাক চিকিৎসকরাও।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১৫ বছর বয়সি ওই নাবালিকা উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কনৌজের গাদিয়া বালিদাসপুরের বাসিন্দা। ওই নাবালিকা কাঁদলেই চোখ থেকে পাথর পড়ছে। বিগত বেশ কয়েকমাস ধরেই তার বাড়ির লোকদের নজরে বিষয়টি আসে। এরপরই গোটা গ্রামে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। গ্রামের বাসিন্দাদের কারওর ধারনা, এই মেয়ের মধ্যে অশুভ কোনও শক্তি ভর করেছে। কেউ আবার বলছেন ভয়ংকর বিপর্যয়ের ইঙ্গিত এই কান্না।
[আরও পড়ুন: পরপর ৬ টি বিয়ে! শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে হাতেনাতে ধরা পড়ে গণধোলাই খেল ‘গুণধর’]
এমনকী নাবালিকার জটিল অসুখের কথা শুনে হতবাক চিকিৎসকরাও। তাঁরাও ঠাহর করতে পারছেন না, ঠিক কোন রোগে আক্রান্ত ওই নাবালিকা। চিকিৎসকদের মতে, কোনও যুক্তিতেই এমন ঘটনার কার্যকারণ ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। ওই বালিকার পরিবারের বক্তব্য, শেষ দু’মাস ধরে চোখ থেকে ১০-১৫টি পাথর বাইরে এসে পড়েছে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। যেখানে ওই মেয়েটির চোখ থেকে দু’টি পাথর পড়তে দেখা গিয়েছে বলে গ্রামবাসীদের দাবি। এছাড়া একটি ছবিতে মেয়েটির চোখের পাশে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে। কিছুক্ষণ সেটিতে চাপ দিতেই বেরিয়ে আসে ছোট্ট পাথর। এরপর ফের চোখ থেকে একটি পাথর বেরিয়ে আসে। আর এই ভিডিও দেখার পরই রীতিমতো হতবাক নেটিজেনরা।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৪ সালে ইয়েমেনের ১২ বছর বয়সি এক মেয়ের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছিল। সাদিয়া সালেহ নামে ওই নাবালিকাও একই রকম রোগে আক্রান্ত ছিল। যা নিয়ে রীতিমতো হইচইও হয়েছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রেও চিকিৎসকরা বুঝতে পারেননি, ঠিক কোন রোগে আক্রান্ত ওই মেয়েটি। আর উত্তরপ্রদেশের ঘটনাতেও একই বক্তব্য চিকিৎসকদের।