কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের যৌন নির্যাতন-হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতিতে নেমেছেন চিকিৎসকরা। কোথাও কোথাও বন্ধ জরুরি পরিষেবাও। আর এসবের মাঝে সোমবার এক রোগীর মৃত্যু ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরিবারের অভিযোগ, কর্মবিরতির জেরে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে রোগীর। মৃতের বউদির অভিযোগ, ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন বলে রোগীকে ছুঁয়েও দেখেননি।
মৃত যুবক পিয়ারুল শেখ। নিজস্ব চিত্র।
জানা গিয়েছে, পিয়ারুল শেখ নামে বেলডাঙার (Beldanga)
এক যুবক পেশায় রাজমিস্ত্রি। আচমকা তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় সোমবার নিয়ে আসা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। তখন ঘড়িতে সকাল ৬টা। তড়িঘড়ি ওপিডি-তে নিয়ে যাওয়া হলে স্যালাইন দেওয়া হয়। কিন্তু তার পর আর তাঁকে কোনও ডাক্তার পরীক্ষা করেননি বলে অভিযোগ। রোগীর পরিবারের আরও অভিযোগ, দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই অবস্থাতেই পড়ে ছিলেন পিয়ারুল। চিকিৎসকরা (Doctors) আন্দোলন করছেন বলে জানানো হয়। নার্সরাও রোগীকে দেখতে চাননি। এর পর তিনি ধীরে ধীরে মৃত্যুর (Death)কোলে ঢলে পড়েন বলে অভিযোগ বাড়ির লোকজনদের।
[আরও পড়ুন: ৭১-এর পাক আত্মসমর্পণের ভাস্কর্য ভাঙচুর বাংলাদেশে, কড়া প্রতিক্রিয়া শশী থারুরের]
বিষয়টি নিয়ে পিয়ারুলের বউদি বিউটি বিবির অভিযোগ, ''ডাক্তার, নার্সরা শুধু বলছেন, আন্দোলন চলছে। তাই কেউ কোনও কাজ করছে না। নার্সরাও এড়িয়ে গিয়েছেন। একটুও চিকিৎসা করেনি। সময়মতো চিকিৎসা হলে এমনটা হতো না। আমরা তো চিকিৎসার জন্য এসেছি। কলকাতায় ডাক্তার মারা গিয়েছে, তার জন্য এখানে প্রতিবাদ, আন্দোলন। আমরা কেন শুনব?'' হাসপাতালের সুপার ডঃ অনাদি রায়চৌধুরী বলেন, ''ওই রোগীকে একেবারে শেষ মুহূর্তে আনা হয়েছিল। তাঁর চিকিৎসাও শুরু হয়েছিল কিন্তু বাঁচানো যায়নি। রোগীর মুখ দিয়ে রক্ত উঠছিল। হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকরা পরিষেবা না দিলেও সিনিয়ররা চিকিৎসা করছেন।''