রমেন দাস: মহাপঞ্চমীতে শহরের রাজপথে পুজো দর্শনের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে চিকিৎসকদের মিছিলে অনুমতি দিল না পুলিশ। বদলে অবশ্য অন্য রুটের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে শেষ মুহূর্তে মিছিলের অনুমতি না মেলায় ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। যদিও কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত মিছিল করতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। অন্যদিকে, পুলিশের দাবি, এই রুটে পুজোর সময় দর্শনার্থী ভিড় হবে। তার মাঝে চিকিৎসকদের মিছিল হলে যানজট আরও বাড়বে। সমস্যা হবে পথচলতি মানুষজনের।
আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনা যে আন্দোলনের জন্ম দিয়েছে, তার জেরে ধাপে ধাপে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। নিজেদের সুরক্ষায় এবার দশ দফা দাবি নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তাঁরা উৎসবের মাঝে একগুচ্ছ কর্মসূচি পালন করছেন। অনশন শুরুর পাশাপাশি মহাপঞ্চমীর দিন শহরে তাঁদের সমর্থনে মহামিছিলের ডাক দিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস। পুজোর ভিড়ের কথা মাথায় রেখে সেই মিছিলে অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলার অনশন মঞ্চের বদলে পুলিশের প্রস্তাব, মিছিল হোক কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস পর্যন্ত। কারণ, কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত একাধিক বিখ্যাত পুজো রয়েছে, যার জন্য দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে। তার উপর মিছিল হলে ভিড়ে যানজট আরও বেশি করে হবে। ফলে বিকেলে চিকিৎসকদের মিছিল নিয়ে জটিলতা থাকছেই। আশঙ্কা থাকছে মধ্য কলকাতা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ারও।
এদিক, আজ রাজ্যের সবকটি মেডিক্যাল কলেজে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। না খেয়েই তাঁরা চিকিৎসা পরিষেবা দেবেন বলে জানিয়েছেন। আবার আর জি করের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন থেকে উঠেছে নয়া দাবি। মঙ্গলবার আর জি করের মেডিক্যাল অফিসার তাপস প্রামাণিক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বেনিয়মের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি তুলেছেন। মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে সন্দীপ ঘোষের বহিষ্কারের পদ্ধতিও ঠিক নয় বলে অভিযোগ। অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখার দাবি আন্দোলনকারীদের।