হোমিওপ্যাথিতে বশে আসতে পারে মধুমেহ। এই লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসার সুফল অনেক। জানালেন বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ডা. অশোককুমার প্রধান। শুনলেন সোমা মজুমদার।
ডায়াবেটিসে (Diabetes) আক্রান্তের সংখ্যাটা এতটাই বাড়ছে যে আগামী কয়েক বছরে প্রায় প্রতিটি ঘরে এই রোগের প্রকোপ দেখা যাবে। তাই সাবধান করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (WHO)। এমনিতেও ডায়াবেটিস এখন কোনও বয়স মানে না। কার উপর কখন প্রকোপ পড়বে কেউ জানে না। আর একবার হল মানে সারা জীবন শুধুই নিয়ন্ত্রণ। সঙ্গে মুঠো মুঠো ওষুধ। তবে কিছুটা স্বস্তি পেতে বা একগাদা ওষুধের চাপ কমাতে বাছা যেতে পারে হোমিওপ্যাথি।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে হোমিও ওষুধের বিশেষত্ব-
হোমিওপ্যাথিতে (Homeopathy) রোগীকে পরীক্ষা করে এবং রোগীর লক্ষণ বুঝে কিছু ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সাধারণত যে ওষুধগুলি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় সেগুলি হল আর্সেনিকাম অ্যালবাম, অরামমেট, লাইকোপোডিয়াম, মেডেরিনাম, ফসফরাস, সিজিজিয়াম জ্যাম্বো, ইউরেনিয়াম নাইট্রিকাম, এব্রোমা আগস্ট, সেফালান্ডা ইন্ডিকা, অ্যাসিড ফস, আর্সেনিক ব্রোমাইড, অ্যাসিড ল্যাকটিক, ইউরেনিয়াম নাইট, নাক্স ভমিকা, অ্যাসিড অ্যাসেটিক, ক্যালকেরিয়া ফস সহ আরও অনেক ওষুধ। এগুলি প্রয়োজন মতো লক্ষণ সদৃশ্য মতে চিকিৎসক রোগীর জন্য নির্ধারণ করে দেন। তবে কোনও ওষুধই ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে খাওয়া উচিত নয়। কারণ ডায়াবেটিক রোগীদের সকলকেই একই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় এমনটা নয়। ডাক্তারবাবু রোগীর লক্ষণ বুঝে যে ওষুধ দেবেন সেই নির্দিষ্ট ওষুধটি নিয়মিত খেতে হবে।
লাইফস্টাইলেও নজর –
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ডায়াবেটিস হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ। ডায়াবেটিস রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে হবে। খাবার চিবিয়ে খান ও একবারে পেট ভরে না খেয়ে বারে বারে খান। সঙ্গে ডায়াবেটিসের ওষুধ সময়মতো খেতেই হবে। মানসিক চাপ দূরে রাখুন।
[আরও পড়ুন: বিরল হাড়ের ক্যানসারে ভুগছে দীপ, আর্থিক সাহায্য করে ওর যন্ত্রণা দূর করতে পারেন আপনিও]
হোমিওপ্যাথিতেও কি সারাজীবন ওষুধ?
হোমিওপ্যাথিতে লক্ষণ বুঝে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ডায়াবেটিস একবার হলে সব সময় ওষুধ খেয়ে যেতে হয় বলে ধারণা রয়েছে। কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে যেহেতু রোগীর লক্ষণ বুঝে ওষুধ দেওয়া হয় তাই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডায়াবেটিক রোগীকে ওষুধ খেতে বলা হয়। তারপরে রোগীর লক্ষণ পরীক্ষা করে যদি মনে হয় তখন অনেক সময় ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পুষ্টিতে নাশ-
ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খান। ডায়াবেটিক রোগীদের করলা, মেথি, সবুজ শাকসবজি, পাকা পেঁপে, পটল, বাঁধাকপি, কুমড়ো, গাজর, কাঁচা আম, ঢেঁড়শ খেতে হবে। ফলের মধ্যে কালো জাম, শশা, ডাবের জল, সবেদা, কমলালেবু, তরমুজ, পেয়ারা উপকারী। চিনি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। বেশি করে আঁশযুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে হবে।
ফোন – ৬২৮৯৫৭৭৪৭৭