সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও দেশই ‘ধমকে চমকে দাবিয়ে রাখতে’ পারবে না মালদ্বীপকে। নাম না করে এভাবেই ভারতে নিশানা করলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। পাঁচদিনের চিন সফর সেরে ফিরেই ফের নয়াদিল্লিকে এভাবেই তোপ দাগলেন ‘চিনপন্থী’ প্রেসিডেন্ট।
শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”আমরা ছোট হতে পারি। কিন্তু সেজন্য আমাদের ধমকে চমকে দাবিয়ে রাখার লাইসেন্স পেতে দেব না কাউকে।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে ঘুরতে গিয়ে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পরই মোদী এবং ভারতকে নিয়ে আপত্তিকর কিছু মন্তব্য করেন মালদ্বীপের কয়েকজন মন্ত্রী। রাতারাতি বয়কট মালদ্বীপ ট্রেন্ড শুরু হয় সোশাল মিডিয়ায়। বাস্তবেই অসংখ্য ভারতীয় মালদ্বীপের হোটেলগুলির বুকিং বাতিল করে। ভারতের একাধিক পর্যটন সংস্থাও এই আন্দলনের পথে হাঁটে। ভারতের তাবড় শিল্পপতি, ক্রিকেটাররা মালদ্বীপের বয়কটের ডাক দেন।
[আরও পড়ুন: বাজপেয়ীর বায়োপিক কি লোকসভা ভোটপ্রচারে বিজেপির অস্ত্র? মুখ খুললেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী]
এদিকে এই পরিস্থিতির সুবিধা নিতে চাইছে চিন। এমনিতেই মুইজ্জু ‘চিনপন্থী’ নেতা। তিনি সেদেশের দায়িত্ব পাওয়ার পরই মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর নির্দেশ দেন। এর পিছনে ‘বেজিংয়ের হাত’ দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। সম্প্রতি ভারতকে মালদ্বীপ ইস্যুতে তোপ দাগে চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস। সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ‘বস’ হতে চাইছে ভারত। সেটা করতে গিয়েই প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করে ফেলছে তারা। সেই সময় মুইজ্জু ছিলেন চিনেই। এবার সেদেশ থেকে ফিরে ফের তোপ দাগলেন নতুন প্রেসিডেন্ট।