সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋণখেলাপী মেহুল চোকসির (Mehul Choksi) বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের মামলা প্রত্যাহার করল ডোমিনিকা রিপাবলিকান (Dominica Republic) প্রশাসন। যার জেরে একদিকে যেমন তাঁকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া আরও জটিল হল অন্যদিকে তেমনই চোকসির অপহরণের অভিযোগই মান্যতা পেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সূত্রের খবর, কারা কারা এই অপহরণের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা নিয়ে তদন্ত শুরু করতে পারে ডোমিনিকার প্রশাসন।
ডোমিনিকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সে দেশের পাবলিক প্রসিকিউটর শেরপা ডেলরিপেল মামলা প্রত্যাহারের কথা জানান। সূত্রের খবর, অ্যান্টিগুয়ার রয়্যাল পুলিশের তদন্তে চোকসির অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ মিলেছে। অর্থাৎ অনুপ্রবেশ নয়, ঋণখেলাপী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ডোমিনিকায় আনা হয়েছিল বলেই তদন্তে উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, চোকসির আইনজীবীর ভিত্তিতেই অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল অ্যান্টিগুয়ার রয়্যাল পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ভারত পারে, পাকিস্তান পারে না! জ্বালানির শুল্ক কমাতেই নয়াদিল্লির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইমরান খান]
মামলা প্রত্যাহার করায় খুশি আইনজীবী বিজয় আগরওয়াল। তাঁর কথায়, তিনটে জিনিস কখনও চাপা থাকে না-সূর্য, চন্দ্র এবং সত্য। যাঁরা বলেছিলেন অপহরণ, জখম সবটাই নাটক-আইনি স্ট্র্যাটেজি, এবার তাঁদের মুখবন্ধ করে রাখার পালা।” সূত্রের খবর, পুলিশকে চোকসি জানিয়েছিলেন, ৫ জন তাঁকে অপহরণ করেছিলেন। এবার তাদের খোঁজ করতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হতে পারে রয়্যাল পুলিশ।
উল্লেখ্য, পিএনবি কেলেঙ্কারির পর ২০১৮ সাল থেকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ অ্যান্টিগুয়ায় বসবাস করছেন মেহুল চোকসি। গত বছর মে মাসে হঠাৎই অ্যান্টিগুয়া থেকে বেপাত্তা হয়ে যান তিনি। পরে ডোমিনিকায় খোঁজ মেলে তাঁর। এদিকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের জন্য হিরে ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে ডোমিনিকা সরকার। সেখানকার জেলে চোকসির উপর ব্যাপক অত্যাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ঋণখেলাপী ব্যবসায়ীর অভিযোগ ছিল, অ্যান্টিগুয়া থেকে স্বইচ্ছেয় ডোমিনিকায় প্রবেশ করেননি তিনি। বরং তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি, বিলাসী পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান]