সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে আদালতে দাঁড়াচ্ছেন, এই দৃশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) ইতিহাসে আগে কখনও দেখা যায়নি। এবার সেই ইতিহাস বদলে দিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়া, বিচারবিভাগকে বিভ্রান্ত করার মতো একাধিক অভিযোগে মায়ামির আদালতে হাজিরা দেবেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই অভিযোগের জেরে প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
জানা গিয়েছে, আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই মায়ামি পৌঁছে গিয়েছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার আদালত চত্বরে সমর্থকদের প্রতিবাদ জানাতেও আহ্বান করেছেন তিনি। দীর্ঘদিনের বন্ধু রজার স্টোনকে ট্রাম্প বলেছেন, “এই সময়ে শক্তি প্রদর্শন করতে হবে। আমাদের দেশকে প্রতিবাদ করতেই হবে। তাই পথে নেমে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করতে হবে।” প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারের পর ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে শঙ্কিত ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: ‘বৈধ নয়’, রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের বেতন ও ভাতা বন্ধের নির্দেশ রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরের]
তবে একাধিক ধারায় অভিযুক্ত হয়েও এতটুকু দমে যাননি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর দাবি, মার্কিন বিচারবিভাগের অপব্যবহার করছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে ইতিমধ্যেই নিজের নাম ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। তাঁকে আটকাতেই বাইডেন প্রশাসন আইনি পদক্ষেপ করছে বলে ট্রাম্পের দাবি। তবে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের কথা ব্যবহার করেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র সাজানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, একটি শত্রু দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণের ছক কষেছিল পেন্টাগন। কিন্তু সেই তথ্য ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন প্রশাসনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিজের রিসর্টে সরিয়ে রেখেছিলেন তিনি। ট্রাম্পের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় একাধিক নথি। তারপরেই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, তথ্য চুরির মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। তাঁকে অভিযুক্ত হিসাবে ঘোষণাও করে মার্কিন আদালত।