সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুঃসময়ের মধ্যেই রীতিমতো এক সুখবর ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) জন্য। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জামাই জেরাড কুশনার (Jared Kushner) মনোনীত হয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কারের (Nobel peace prize) জন্য। ইজরায়েলের (Israel) সঙ্গে আরব দেশগুলির শান্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের কারণেই কুশনার ও তাঁর ডেপুটি অ্যাভি বারকোভিটসকে মনোনীত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বারকোভিটস মধ্যপ্রাচ্যের দূত হিসেবেও কাজ করেছেন।
স্বাভাবিক ভাবেই এমন খবর পেয়ে হোয়াইট হাউসের প্রাক্তন সিনিয়র অ্যাডভাইজার কুশনার উচ্ছ্বসিত। এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, এই মনোনয়ন পেয়ে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন। ট্রাম্প জমানায় ইজরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলির শান্তি ফেরাতে মধ্যস্থতার জন্য তিনিই তাঁর শ্বশুরকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। এরপর ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মধ্যে হওয়া ‘আব্রাহাম চুক্তি’তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওই চুক্তিকে গত ২৫ বছরের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক চুক্তি বলে ধরা হয়।
[আরও পড়ুন: অস্বস্তি বাড়ল ট্রাম্পের! প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের হয়ে মামলা লড়তে নারাজ আইনজীবীরা]
মার্কিন আইনজীবী অ্যালান ডেরশোভিটসই কুশনার ও তাঁর ডেপুটি অ্যাভি বারকোভিটসকে ওই মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিলেন। হার্ভার্ড আইন স্কুলের অধ্যাপক হিসেবে এই সুপারিশ দেওয়ার যোগ্যতা রয়েছে তাঁর। প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের প্রথম ইমপিচমেন্টের সময় তাঁর প্রধান আইনজীবী হিসেবে ছিলেন ডেরশোভিটস। প্রথম থেকেই তিনি বলে এসেছেন, যেহেতু ট্রাম্প আর প্রেসিডেন্ট নেই, তাই এই বিচার অসাংবিধানিক।
নোবেল কমিটিকে লেখা চিঠিতে ডেরশোভিটস ইজরায়েলের প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রিডম্যান ও আমেরিকায় প্রাক্তন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত রন ডার্মারের কাজেরও প্রশংসা করেছেন। তবে তাঁর এই সুপারিশ নিয়ে যে বিতর্ক হতে পারে, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। তাঁর চিঠিতে তিনি পরিষ্কার লিখেছেন, ”নোবেল শান্তি পুরস্কার জনপ্রিয়তার জন্য নয়।” তাঁর মতে, আলফ্রেড নোবেল তাঁর উইলে যে শর্ত রেখেছিলেন সেটা মাথায় রেখেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়।