সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েক সপ্তাহে উপত্যকায় (Jammu and Kashmir) বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদেরই অন্যতম রাহুল ভাট (Rahul Bhat)। গত মাসে নিজের অফিসেই জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ওই কাশ্মীরি পণ্ডিত। তাঁর পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু ওই অর্থ সামান্য বলেই মনে করছেন মৃত রাহুলের বাবা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সামনে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে তিনি জানিয়েছেন, ”আমরা ওই আর্থিক সাহায্যে সন্তুষ্ট নই। আমাদের ভিখারি ভাববেন না। আমার ছেলে কর্মরত অবস্থায় মারা গিয়েছে। ৫ লক্ষ টাকা সেই তুলনায় কিছুই নয়।”
পাশাপাশি ওই হত্যাকাণ্ডের মধ্যে চক্রান্তের গন্ধও পাচ্ছেন তিনি। তাঁর কথায়, ”এই ঘটনায় ওর অফিসের ভিতরেরই কেউ জড়িত। কেন তহসিলদার ও অন্যান্য অফিসারদের ঘরের দরজা বন্ধ ছিল, যখন আমার ছেলেকে খুন করা হয়? আমার ছেলে মারা যাওয়ার পরে তাঁদের কাউকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। সবাই দিব্যি অফিস আসছে যাচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: দিনভর হাওড়ায় জাতীয় সড়ক অবরোধ, চূড়ান্ত ভোগান্তিতে যাত্রীরা, তীব্র নিন্দা মুখ্যমন্ত্রীর]
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে উপত্যকার বদগাওয়ের চাদুরা নামের একটি গ্রামের তহসিলদার অফিসে এই জঙ্গি হামলা হয়। ঘটনার কথা টুইট করে জানিয়েছিল কাশ্মীর পুলিশ (Kashmir Zone Police)। ওই টুইটে বলা হয়, “বদগাওয়ের চাদুরা গ্রামের তহসিলদার অফিসে এক সংখ্যালঘু ব্যক্তির উপর হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। তাঁকে লক্ষ্য গুলি করা হয়। আহত ব্যক্তিকে হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।” যদিও শ্রীনগরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রাহুল ভাটের।
গত ৯ মাসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর একের পর এক হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে এই ধরনের হামলা বাড়তে শুরু করেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক ও কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে।