সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে ভারত। অন্যদিকে চিন। শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট অনুরাকুমার দিশানায়েকে কাদের সঙ্গে কীরকম সম্পর্ক রাখতে চাইবেন তা নিয়ে জল্পনা। এর মধ্যেই মুখ খুললেন তিনি। দিশানায়েকে জানিয়ে দিচ্ছেন, কোনওভাবেই দুই দেশের মধ্যে 'স্যান্ডউইচ' হতে চান না তিনি। তবে দুই দেশকেই তাঁদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন দিশানায়েকে।
তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''বহুমেরু ব্যবস্থায় নানা শক্তি শিবির থাকে। কিন্তু আমরা কোনও ভূরাজনৈতিক লড়াইয়ের অংশ হতে চাই না। আমরা স্যান্ডউইচ হতে নারাজ। বিশেষ করে ভারত ও চিনের মধ্যে। দুই দেশই গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু। আশা করি আরও ঘনিষ্ঠ হব আমরা।''
রবিবার দুই রাউন্ডের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হন দিশানায়েকে। শেষ পর্যন্ত ৪২.৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে তিনি জয়ী হন। দ্বীপরাষ্ট্রের ইতিহাসে দিশানায়েকেই প্রথম বামপন্থী প্রেসিডেন্ট। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভারত বা চিন দুই দেশের ঘনিষ্ঠ নেতাদেরই বাতিল করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার আমজনতা। ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির বেহাল দশা থেকে দেশকে টেনে তুলতে তাঁদের ভরসা বামপন্থী দিশানায়েকের উপর। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, তিনি দুই দেশকে সঙ্গে নিয়েই এগোতে চাইছেন। গত সোমবার তিনি শপথ নিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০২২ আর্থিক সংকটে জেরবার হওয়ার পরে এটাই শ্রীলঙ্কার প্রথম নির্বাচন ছিল।
এদিকে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন হরিণী অমরসূর্য। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার ১৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন তিনি। অমরসূর্য স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন দীনেশ গুণবর্ধনের। তিনি সেদেশের ইতিহাসে তৃতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি একজন অধিকার কর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকাও বটে।