নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: শুধু জয় নয়, রাষ্ট্রপতি নির্বচনে রেকর্ড ভোটে জয় চাইছে বিজেপি। তাই মনোনয়ন পর্ব থেকেই শক্তি প্রদর্শন শুরু করবে গেরুয়া শিবির। ২৪ জুন অর্থাৎ শুক্রবারই মনোনয়ন জমা দেবেন দ্রৌপদী মুর্মু। সেদিন দিল্লিতে হাজির থাকবে বিজেপি শাসিত সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর প্রস্তাবক হিসাবে নাম থাকতে চলেছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)।
বস্তুত গেরুয়া শিবির মনে করছে, দ্রৌপদী যে জিতবেন তাতে কোনও সংশয় নেই। একে তো সংখ্যার বিচারে তাদের প্রার্থী বিপক্ষের প্রার্থী যশবন্ত সিনহার (Yashwant Sinha) থেকে অনেক এগিয়ে। তার উপরে আবার বিরোধী শিবির ছন্নছাড়া। শরদ পওয়ার ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মহারাষ্ট্রে সরকার বাঁচাতে। জেএমএম বিরোধী শিবিরে থেকেও বাধ্য হয়ে সম্ভবত আদিবাসী প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করবে। বিজেডি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসও (YSR Congress) বিজেপির প্রার্থীকেই সমর্থনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন।
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে আরও কোণঠাসা উদ্ধব, ছাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী আবাস, একনাথ শিণ্ডের শিবিরে বাড়ছে বিধায়ক সংখ্যা]
তাছাড়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ‘গোপন ব্যালটে’র সুবিধা নিতে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপির অন্দরে। দেশের সমস্ত রাজ্যের নির্দল বিধায়ক এবং সাংসদদের ভোট যাতে বিজেপি তথা এনডিএ (NDA) পদপ্রার্থীর ঝুলিতে আসে তার জন্য অনেক আগে থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছিল তারা। কোন রাজ্য কত নির্দল বিধায়ক রয়েছে, সংসদে কত জন নির্দল সাংসদ রয়েছে সেই তালিকা আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হিসাবে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা হতেই সেই তালিকা মিলিয়ে ভোট জোগাড়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে বিজেপি (BJP) শিবির।
দলের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন, “সংসদে লোকসভায় তিন ও রাজ্যসভায় দুই, মোট পাঁচজন নির্দল সাংসদের ভোট বিজেপির দিকেই আসবে। আর সারা দেশে যে সমস্ত নির্দল বিধায়ক রয়েছেন তাঁরাও আমাদের প্রার্থীকেই ভোট দেবে বলেই আশা করছি।” অন্যদিকে বিরোধী শিবিরে থাকা দলগুলির মধ্যে থেকে কীভাবে ভোট ভাঙানো যায় সেই রণকৌশলও তৈরি করে ফেলেছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: সরযূ নদীতে স্নানের মাঝে বউকে চুমু, যুবককে বেধড়ক পেটাল জনতা, ভাইরাল ভিডিও]
ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, এই ছয় আদিবাসী অধ্যুষিত রাজ্য বিরোধী শিবির থেকে ভোট ভাঙাতে ‘আদিবাসী কার্ড’ ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি। তাঁদের একজন প্রতিনিধি দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে বসতে চলেছে, সেই বিষয়টিকে সামনে রেখেই আদিবাসী ভাবাবেগে সুড়সুড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বিজেপির প্রার্থীকে ভোট দিলে যে বিষয়টি গোপন থাকবে, কারণ ভোট হবে গোপন ব্যালটে- সেই বিষয়টিও বোঝানো হবে তাঁদের। আদিবাসী ভোট পুরোপুরি নিজেদের ঝুলিতে টানতে উপরোক্ত ছটি রাজ্যে মুর্মু (Draupadi Murmu) দু’দিন করে ‘প্রবাস’ কর্মসূচি পালন করবেন বলেই ঠিক হয়েছে।