সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধুচক্রের ফাঁদে পড়ে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Defence Ministry) মিসাইল প্রোগ্রামের গোপন নথি ও ছবি পাকিস্তানের (Pakistan) চরকে পাচার করার অভিযোগ উঠল ডিআরডিও’র এক ল্যাব ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত দুক্কা মল্লিকার্জুন রেড্ডিকে (২৯) হায়দরাবাদের মিরপেট থেকে তাঁকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে তেলেঙ্গানা পুলিশের স্পেশাল অপারেশনস টিম। তাঁর বাড়ি থেকে দু’টি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, একটি সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, আমেরিকার প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত একটি জার্নালের সঙ্গে পরিচয় দিয়ে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সদস্যা এক মহিলা মল্লিকার্জুনের সঙ্গে বছর দু’য়েক আগে ফেসবুকে বন্ধুত্ব পাতায়। পুলিশের সন্দেহ, ফেসবুকে নাতাশা রাও নামে পরিচয় দেওয়া ওই মহিলা তাঁকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। ২০২০ সাল নাগাদ বালাপুরে রিসার্চ সেন্টার ইমারতে (আরসিআই) ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ল্যাবরেটরির (ডিআরডিএল) মিসাইল প্রকল্পের ছবি ও তথ্য ওই আইএসআই চরের সঙ্গে শেয়ার করেন মল্লিকার্জুন।
[আরও পড়ুন: পয়গম্বরের অপমানের বদলা নিতেই কাবুলের গুরুদ্বারে হামলা! দায় স্বীকার আইসিসের]
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, নাতাশা ওরফে সিমরন চোপড়া ওরফে অমিশা আড্ডি নামে ওই মহিলাকে অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার একাধিকবার গোপন তথ্য দিয়েছেন। বিশাখাপত্তনমের বাসিন্দা মল্লিকার্জুন ২০২০ সালে চুক্তির ভিত্তিতে ডিআরডিএলে এএনএসপি প্রজেক্টে কাজ পান। তার আগে দু’বছর একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। ডিআরডিএলে কাজ করার কথাই তিনি ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন।
এই ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটতে দেখা গিয়েছে। গত বছর একই ভাবে চরবৃত্তি এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অন্য দেশের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় আকাশ মেহরিয়া নামে এক জওয়ানকে। ওই সেনা জওয়ান ছিলেন রাজস্থানের শিকারের বাসিন্দা। পাকিস্তানি মহিলা এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। ফেসবুকের মাধ্যমেই তারা যোগাযোগ করেছিল আকাশের সঙ্গে। এরপরই মোহজালে ফাঁসিয়ে তাঁর কাছ থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও চুরি করে নেওয়া হয়। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি এবার হায়দরাবাদেও।