টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হল চন্দনা বাউরির ‘দ্বিতীয় স্বামী’ কৃষ্ণ কুণ্ডুকে। শনিবার সন্ধেয় তাঁকে ভরতি করা হয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে। ওই যুবকের প্রথম স্ত্রীর দাবি, দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে টানাপোড়েনের জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কৃষ্ণ।
সম্প্রতি শালতোড়ের বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির দ্বিতীয় বিয়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য-রাজনীতি। বিধায়কের গাড়ি চালকের স্ত্রী দাবি করেছিলেন, তাঁর স্বামী কৃষ্ণ কুণ্ডুকে বিয়ে করেছেন চন্দনা। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছিলেন বিধায়ক। ঘটনার জল গড়ায় থানা পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার জেরে চরম অশান্তির কারণেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কৃষ্ণ কুণ্ডু। শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ তাঁকে ভরতি করা হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এদিন হাসপাতালে স্বামীর পাশে ছিলেন কৃষ্ণর স্ত্রী রুম্পা কুণ্ডু।
রুম্পাদেবীর কথায়, “আমার স্বামীকে বিয়ে করার পর এখন অস্বীকার করছেন চন্দনা। তা নিয়ে অশান্তির জেরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আমার স্বামী।” এই রুম্পাদেবীই স্থানীয় গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির বিরুদ্ধে ঘর ভাঙার অভিযোগ করেছিলেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে।
[আরও পড়ুন: স্টেশন থেকে বেরতেই মোবাইল-টাকা ছিনতাই যাত্রীর, মালদহে গ্রেপ্তার ভুয়ো Police আধিকারিক]
ওইদিনের ঘটনার পর থেকেই নিজেকে ঘরবন্দি করে রেখেছেন চন্দনা বাউরি। চন্দনাদেবীর স্বামী শ্রাবণ বাউড়ি বলছেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগসাজোশ করেই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে কৃষ্ণ।” উল্লেখ্য, বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসাবেই এলাকায় পরিচিত কৃষ্ণ কুণ্ডু। স্থানীয় সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হওয়ার সময় থেকেই চন্দনাদেবীকে নিজের গাড়ি করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া-আসা করতেন কৃষ্ণ। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকেই তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি কৃষ্ণর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে স্বামী শ্রাবণের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে চন্দনার। গত বুধবার রাতে স্থানীয় একটি মন্দিরে তাঁরা ‘বিবাহ বন্ধনে’ আবদ্ধ হন বলেও অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের বিয়ের ছবি।