সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাস্তা কচুরি তাঁর বড়ই প্রিয়। এতটাই যে, রোজ সকাল সকাল গরম গরম না পেলে চলে না। তা সে যতই তিনি লোকোমোটিভ ট্রেন চালানোর দায়িত্বে থাকুন। আর তাই রোজ ঠিক সকাল আটটা নাগাদ তিনি ট্রেন থামিয়ে দেন রাজস্থানের (Rajasthan) আলওয়ারের দৌড়পুর ক্রসিংয়ে এসে। যথাসময়ে নামিয়ে দেওয়া হয় ক্রসিংয়ের গেট। রেলেরই এক কর্মী এসে আগে থেকে কিনে রাখা কচুরির প্যাকেট তুলে দেন তাঁর হাতে। খাবার যথাস্থানে পৌঁছনোর পর বাজে ‘হর্ন’। চলতে শুরু করে ট্রেন।
এটাই রোজনামচা। আর যতক্ষণ এই সমস্ত ঘটনা মানে চালকের ‘স্ন্যাকস’ ভোজন চলে, ততক্ষণ শয়ে শয়ে মানুষকে গুনতে হয় অপেক্ষার প্রহর। অসুবিধা হলেও কিছু করার নেই! তবে এই রুটিনেও বাধা পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে। চালকের কচুরি ভোজনের জন্য রোজ ট্রেন থামানোর ঘটনা কেউ ক্যামেরাবন্দি করে পোস্ট করে দেন।
[আরও পড়ুন: বাজল যুদ্ধের দামামা, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা পুতিনের]
তারপর থেকেই ভিডিও ভাইরাল (Viral video)। ভিডিও দেখে বয়ে গিয়েছে সমালোচনার ঝড়। ঘটনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে রেল আধিকারিকদের। শুরু হয়েছে তদন্ত। জয়পুরের ডিভিশনাল রেল ম্যানেজার, নরেন্দ্র কুমার পাঁচ জনকে সাসপেন্ড করেছেন। এই তালিকায় আছেন দু’জন লোকো পাইলট, দু’জন গেটম্যান এবং একজন ইনস্ট্রাক্টর। লোকো চালকের নিন্দা করেছেন স্টেশন সুপারিন্টেন্ডেন্ট, আর এল মীনাও।
প্রসঙ্গত, এর আগে এমন ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছিল পাকিস্তানেও। দই কেনার জন্য ওই চালককে ট্রেন থামাতে দেখা গিয়েছিল। তাঁর এক সহকারীকে দেখা গিয়েছিল ট্রেন থেকে নেমে এসে সামনের দোকান থেকে দই কিনতে। দই কেনার পরে তিনি ফের ট্রেনে উঠে পড়েন। সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেন এক ব্যক্তি। ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যেতেই বেকায়দায় পড়ে যান ওই চালকও।